যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় চেয়ারের মালিক বদলে যেতেই মধ্যপ্রাচ্যেও আসছে পরিবর্তন। ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে টান টান উত্তেজনার মধ্যে, ওই অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এখন ওই অঞ্চল থেকে পিছু হটছে। কমাচ্ছে সামরিক উপস্থিতি।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে থাকা নিজেদের একমাত্র এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে নানামুখী হুমকি মোকাবিলায় এখনো ওই ক্যারিয়ারের প্রচুর সক্ষমতা রয়েছে বলেও জানিয়েছে পেন্টাগন। এ নিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, গত এক বছরে এই দ্বিতীয়বার পশ্চিম এশিয়া থেকে আমেরিকার বিমানবাহী রণতরী সরে গেল।
পশ্চিম এশীয় অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা সৃষ্টিকারী পদক্ষেপ যখন বৃদ্ধি পাচ্ছে তখনই ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীর হাতে ওয়াশিংটনের পরাজয়ও অব্যাহত রয়েছে। সেইসাথে আমেরিকা এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশের আধিপত্য ভেঙে পড়ছে। দাবি করা হচ্ছে, ইয়েমেনের সামরিক শক্তি ওয়াশিংটনের কল্পনার বাইরে।
আইজেনহাওয়ার, রুজভেল্ট এবং আব্রাহাম লিঙ্কন বিমানবাহী রণতরী পালিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে আমেরিকা স্বীকার করেছে, ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনীর উন্নত এবং আধুনিক সামরিক সক্ষমতা রয়েছে। আমেরিকার নৌবাহিনীর জন্য ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী একটি বড় বাধা এবং চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত।
গত কয়েক মাস ধরে, ইয়েমেনি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি জনগণ এবং প্রতিরোধ বাহিনীর সমর্থনে লোহিত সাগর এবং বাব আল-মান্দাব প্রণালীতে বেশ কয়েকটি ইহুদিবাদী জাহাজ কিংবা ইসরায়েল অভিমুখি জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। ইয়েমেনের সেনাবাহিনী ইসরায়েলের অভ্যন্তরে বিশেষ করে তেল আবিবে সফলভাবে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে।
ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী অঙ্গিকার করেছে, যতদিন পর্যন্ত ইহুদিবাদী ইসরায়েল গাজায় তাদের আক্রমণ বন্ধ না করবে ততদিন লোহিত সাগরে ইসরায়েলি জাহাজ এবং ইসরায়েলগামী জাহাজের ওপর হামলা চালিয়ে যাবে।
এর আগে, গেল সেপ্টেম্বরে ইয়েমেনি নিউজ নেটওয়ার্ক জানিয়েছিল, ইয়েমেনি সেনাবাহিনীর সাম্প্রতিক ড্রোন হামলার পর লোহিত সাগর থেকে আমেরিকার বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস আব্রাহাম লিংকন পালিয়ে গেছে।
ইউএস নেভাল ইনস্টিটিউটের উদ্ধৃতি দিয়ে ইয়েমেনি নিউজ এজেন্সি আরও জানিয়েছিল, ইউএসএস আব্রাহাম লিংকন বিমানবাহী রণতরী এলাকা ছেড়ে যাওয়ার পর ইউএস ৭ম ফ্লিট এলাকায় প্রবেশ করেছে।
বিডি-প্রতিদিন/শআ