কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ডাকাতদের চিনে ফেলায় মা ও ছেলেকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার ঘটনায় তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়। অপরদিকে একই মামলায় আরও একটি ধারায় আসামিদের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।
আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-০১ এর বিচারক সোহানী পুষণ এই রায় ঘোষণা করেন।
কুষ্টিয়া জেলা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি খাদিমুল ইসলাম রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামীরা হলেন-দৌলতপুর উপজেলার জোয়াদ্দার পাড়া এলাকার সেকেন্দার মোল্লার ছেলে আবু হানিফ মোল্লা, একই উপজেলার সোনাইকান্দি গ্রামের ইমরান হোসেন মন্ডলের ছেলে আলী আকবর ও মৃত শহিদুল ইসলাম মন্ডলের ছেলে লাল চাঁন মন্ডল। রায় ঘোষণাার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত ৩ আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদেরকে কড়া পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার এজাহার এবং আদালত সূত্রে জানা যায়, দৌলতপুর উপজেলার সোনাইকান্দি গ্রামের আব্দুল মানিকের স্ত্রী ছানোয়ারা বেগম তার আগের পক্ষের ৮ বছরের ছেলে রাজ আহাম্মেদকে নিয়ে একসঙ্গে থাকতেন। ২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর দিবাগত গভীর রাতে দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা দরজা ভেঙ্গে ওই বাড়ীতে ডাকাতি করতে যায়। এসময় ছানোয়ারা ডাকাতদের চিনে ফেলে এবং চিৎকার দেওয়ার চেষ্টা করলে ডাকাতদল ছানোয়ারা এবং তার ছেলেকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরে সকালে স্থানীয়দের দেয়া সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ এসে মা-ছেলের লাশ উদ্ধার করে। ঘটনার পরদিন ছানোয়ারার মেয়ে পারভীনা আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে দৌলতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিশিকান্ত সরকার আসামিদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানী শেষে বুধবার বিজ্ঞ বিচারক এই রায় ঘোষণা করেন।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ