মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে বলা হয় রাজনীতির দিকপাল। লাখ লাখ ভক্তের কাছে তিনি ছিলেন কামেল পীর। ১৯৫৪ সালে মীরজাফরের বংশধর-পূর্ব বাংলার সে সময়কার গভর্নর ইস্কান্দার মির্জার দৃষ্টিতে তিনি ছিলেন কমিউনিস্ট ও ভারতের দালাল। কারও কারও কাছে চীনপন্থি হিসেবে পরিচিতি ছিল এ মজলুম জননেতার। রাজনীতির এ সিংহপুরুষ ছিলেন ক্ষমতাবিমুখ। তরুণ বয়সে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একবার পূর্ব বাংলার প্রাদেশিক পরিষদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। একপর্যায়ে তিনি পদত্যাগও করেন সে পদ থেকে। মওলানা ভাসানীর জন্ম এক অতিসাধারণ পরিবারে। বিয়ে করেছিলেন জয়পুরহাটের পাঁচবিবির জমিদার শামসুদ্দিন আহম্মদ চৌধুরীর একমাত্র কন্যাকে। শ্বশুরবাড়ির সব সম্পত্তি তিনি বিলিয়ে দিয়েছিলেন ভূমিহীনদের মাঝে। মওলানা ভাসানী যে কুঁড়েঘরে আজীবন বসবাস করেছেন তাঁর সঙ্গে গাঁও-গ্রামের হতদরিদ্রদের জীবনযাপনের কোনো পার্থক্য ছিল না। গত ১৭ নভেম্বর ছিল এ মহিরুহের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, কালের বিবর্তনে আমাদের নতুন প্রজন্মের অনেকের কাছে মওলানা ভাসানী প্রায় অজানা এক নাম। বলা হয়, বাঙালি এক অকৃতজ্ঞ জাতি। আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গনের দিকে তাকালে সে সত্যটি ফুটে ওঠে। এ দেশে মওলানা ভাসানী, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মতো বিশাল মাপের নেতারা জন্মগ্রহণ করলেও তাঁরা ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছেন স্মৃতিপট থেকে। যেসব রাজনৈতিক নেতা একটি নতুন রাষ্ট্র ও নতুন জাতির অভ্যুদয়ে স্মরণযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন তাঁদের অন্যতম মওলানা ভাসানী। যাঁকে বলা হয় স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা। উপমহাদেশের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা দান করেছেন মওলানা ভাসানী। সমাজবাদী আন্দোলনের যেমন পুরোধা ছিলেন তিনি, তেমন আধ্যাত্মিক জগতেরও শিরোমণি হিসেবে নন্দিত হয়েছেন এ মহান নেতা।
মওলানা ভাসানীকে তাঁর অর্বাচীন সমালোচকরা অভিহিত করতেন ‘অশিক্ষিত রাজনীতিক’ হিসেবে। এমনকি তাঁকে মূর্খ হিসেবে অভিহিত করার ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন কেউ কেউ। মওলানা ভাসানীর রাজনীতি, জীবনদর্শন, আধ্যাত্মিক সাধনা এর কোনোটিই অবশ্য কোনো অতিজ্ঞানীর উর্বর বক্তব্য কিংবা সার্টিফিকেটের ওপর নির্ভরশীল ছিল না। আপন গুণেই তিনি ছিলেন গুণান্বিত। মওলানা ভাসানীর তুলনা ছিলেন তিনি নিজেই। যে কারণে জীবদ্দশায়ই কিংবদন্তিতে পরিণত হয়েছিলেন এ মহানায়ক। তিনি ছিলেন বহুধাসত্তার এক অনন্য উদাহরণ।
মওলানা ভাসানী ছিলেন ক্ষমতাবিমুখ এক রাজনীতিক। রাজনৈতিক দল সম্পর্কে সংজ্ঞা দিতে গিয়ে একবার মওলানা ভাসানীর সবচেয়ে প্রিয় শিষ্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, তাঁর দল আওয়ামী লীগ আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলাম কিংবা রামকৃষ্ণ মিশন নয়। তাঁর দলের নির্দিষ্ট আদর্শ ও কর্মসূচি রয়েছে। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য ক্ষমতায় যাওয়াই তাঁর লক্ষ্য।
ক্ষমতায় যাওয়াকে দলের বা নিজের লক্ষ্য হিসেবে নির্ধারণ করলেও বঙ্গবন্ধু যেনতেনভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার ‘পক্ষপাতী ছিলেন না। আদর্শের জন্য জীবনের এক বড় অংশই জেলে কাটিয়েছেন এ জাতীয় নেতা। পরাধীন বাংলাদেশে তিনি ছিলেন বাংলাদেশের মানুষের অহংকার। আমাদের আরেক জাতীয় নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম তাঁর এক লেখায় বঙ্গবন্ধুর এ অবস্থানকে স্বীকার করেছেন। আর মওলানা ভাসানী রাজনৈতিক অঙ্গনের প্রাণপুরুষ হিসেবে বিবেচিত হলেও তিনি কখনো নিজেকে ক্ষমতার সঙ্গে সম্পৃক্ত করেননি। পাকিস্তান আমলে প্রথম থেকে যে দলটি ছিল এককভাবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে সেই আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মওলানা ভাসানী। ১৯৫৭ সালে আওয়ামী লীগ পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ও পূর্ব বাংলায় সরকার গঠন করলেও মওলানা ভাসানী ক্ষমতার সঙ্গে সম্পৃক্ত হননি। তার আগে ১৯৫৪ সালে মওলানা ভাসানী, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর যৌথ নেতৃত্বে গঠিত হয় যুক্তফ্রন্ট। তৎকালীন পূর্ব বাংলার প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে ২৩৭ আসনের ৯টি বাদে সব কটিতে জয়ী হয় তারা। যুক্তফ্রন্ট সরকার গঠন করলেও তাতে জড়িত হননি মওলানা ভাসানী। যুক্তফ্রন্টের শীর্ষ নেতা মওলানা ভাসানী ওই বছরের ২৫ মে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে বিশ্ব শান্তি সম্মেলনে যোগদান করেন। ৩০ মে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার পূর্ব বাংলার যুক্তফ্রন্ট সরকার ভেঙে দেয় ও গভর্নরের শাসন জারি করে। মওলানা ভাসানীকে কমিউনিস্ট ও ভারতের দালাল হিসেবে অভিহিত করে তাঁর দেশে প্রত্যাবর্তনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। মওলানা ভাসানী ছিলেন ১৯৬৯ সালের আইয়ুববিরোধী গণ অভ্যুত্থানের অন্যতম নায়ক। এ গণ অভ্যুত্থানের পরিণতিতে বঙ্গবন্ধু আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে মুক্তি পান। আমেরিকান সাংবাদিক ড্যান কোগনিন টাইম ম্যাগাজিনে ১৯৬৯ সালের গণ অভ্যুত্থান উসকে দেওয়ার জন্য ভাসানীকে কৃতিত্ব দিয়েছেন। এ গণ অভ্যুত্থানের কারণেই পাকিস্তানের সেনাপতি শাসক ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খানের ১১ বছরের স্বৈরাচারী শাসনের পতন হয়।
ইতিহাসের এ মহিরুহের জন্যই ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশের ১৬০টি আসনের দুটি বাদে সব কটি আসনে জয়ী হয় আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণের স্বাধিকার আন্দোলন নতুন মাত্রা পায়। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে মওলানা ভাসানী গিয়েছিলেন খুলনায়। উঠেছিলেন মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ন্যাপের সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল জব্বারের বাসভবনে। শহীদ জব্বারের পুত্র জুলফিকার জব্বার মুকুল ভাইয়ের সৌজন্যে মজলুম জননেতার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ হয়। তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ১৯৭০ সালের নির্বাচনের আগে তিনি ‘ভোটের আগে ভাত চাই’ সেøাগান তুলে কেন নির্বাচন বর্জন করেছিলেন? জানতে চেয়েছিলাম, এ বর্জন তাঁর দল ন্যাপের জন্য আত্মঘাতী ছিল কি না? মওলানা ভাসানী জবাব দিয়েছিলেন তাঁর সিদ্ধান্তই যে সঠিক ইতিহাস প্রমাণ রেখেছে। সত্তরের নির্বাচন ছিল বাংলাদেশের জনগণের স্বাধিকারের ম্যান্ডেট লাভের নির্বাচন। এ নির্বাচনে ন্যাপ অংশ নিলে স্বাধিকারের পক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগ ও ন্যাপের ভোট ভাগাভাগিতে বিরোধী পক্ষ লাভবান হতো। মওলানা ভাসানী বলেছিলেন তিনি কখনো ব্যক্তি বা দলের স্বার্থে রাজনীতি করেন না। রাজনীতি করেন জনগণের শোষণমুক্তির জন্য। তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। এ লক্ষ্য অর্জনে নিজের প্রতিষ্ঠিত দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে ১৯৫৭ সালে সম্পর্ক ছিন্ন করতে পিছপা হননি। মওলানা ভাসানী প্রথম বাংলাদেশের স্বাধীনতার কথা ভাবেন। ১৯৫৭ সালে কাগমারী সম্মেলনে তিনি পাকিস্তানি শাসকদের আসসালামু আলাইকুম বলে বিচ্ছিন্নতার ঘণ্টা বাজান। নিজের রাজনীতি কতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত বা লাভবান হলো এটি তাঁর ভাবনার বিষয় ছিল না। তিনি বাংলাদেশের আপামর জনগণের স্বার্থকেই বড় চোখে দেখেছেন।
।।দুই।।
মুক্তিযুদ্ধকালে মওলানা ভাসানী ছিলেন প্রবাসী মুজিবনগর সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। তাঁকে কেন্দ্র করেই পাকিস্তান আমলে সমাজবাদী রাজনীতি দানা বাঁধে। ষাটের দশকে সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন চীন ও মস্কোপন্থি এই দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। চীনপন্থিরা ছিলেন মওলানা ভাসানীর ওপর নির্ভরশীল। যে কারণে চীনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল ঘনিষ্ঠ। নয়া চীনের প্রতিষ্ঠাতা মাও সেতুং এবং প্রধানমন্ত্রী চৌ এন লাই মওলানা ভাসানীর প্রতি ছিলেন বিশেষ শ্রদ্ধাশীল। কৌশলগত কারণে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে চীন পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নেয়। তাদের আশঙ্কা ছিল মুক্তিযুদ্ধ সফল হলে এ এলাকায় মস্কোর প্রভাব বেড়ে যাবে। কিন্তু মওলানা ভাসানীর কারণেই তারা পাকিস্তানের সমর্থনে মুক্তিযুদ্ধে হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকে। স্বাধীন বাংলাদেশে মওলানা ভাসানীই শাসকশ্রেণির অন্যায় ও গণবিরোধী ভূমিকার বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের প্রতিবাদে তিনি ভুখা মিছিলে নেতৃত্ব দেন। ১৯৭৬ সালে বৃদ্ধ বয়সে ফারাক্কাবিরোধী লংমার্চে নেতৃত্ব দেন মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী। ভারতের কাছ থেকে গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে বিশ্বসমাজের দৃষ্টি আকর্ষিত হয় এ লংমার্চের মাধ্যমে।
।।তিন।।
বাংলাদেশের মানুষ মওলানা ভাসানীকে ভুলতে চললেও তাঁকে ভোলেননি কানাডার কনকর্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক। তিনি পশ্চিমা বিশ্বে ‘রেড মওলানা’ হিসেবে পরিচিত মওলানা ভাসানীকে নিয়ে থিসিস করতে উদ্বুদ্ধ করেছেন এক বাংলাদেশি শিক্ষককে। তাঁর অনুপ্রেরণাতেই মওলানা ভাসানীকে নিয়ে গবেষণাকর্মে ডক্টরেট ডিগ্রি পেয়েছেন ড. আবিদ সলিমুল্লাহ বাহার। এটিই ইংরেজি ভাষায় মওলানা ভাসানীকে নিয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনের প্রথম ঘটনা। ড. বাহার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক থাকা অবস্থায় কানাডায় যান। সেখানকার অন্টারিও ইউনিভার্সিটি অব উইন্ডসর থেকে সমাজতত্ত্বে মাস্টার্স ডিগ্রি নেন। তারপর থেকে চট্টগ্রামের এ কৃতী সন্তান কানাডার কুইবেক প্রদেশের মন্ট্রিলের ডওশন কলেজে শিক্ষকতায় নিয়োজিত ছিলেন। তাঁর থিসিসের বিষয়বস্তু ছিল ‘দ্য রিলিজিয়াস অ্যান্ড ফিলসফিক্যাল বেসিস অব ভাসানিজ পলিটিক্যাল লিডারশিপ’।
ড. বাহার বলেছেন, তিনি ভাসানীর রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন না। কিন্তু প্রবাসে থাকলেও দেশের টানে কোনো দেশি বিষয়ের ওপর থিসিস করার কথা ভাবেন। তাঁর এ ভাবনায় অনুপ্রেরণা জোগান দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক এক কানাডিয়ান বিশেষজ্ঞ। তিনিই মওলানা ভাসানীর জীবন ও কর্মের ওপর গবেষণা করতে বলেন।
গবেষণা করতে গিয়ে ড. আবিদ নিশ্চিত হন মওলানা ভাসানী রাজনীতিতে আসেন সুফি আদর্শবাদে অনুপ্রাণিত হয়ে। আল্লাহর সন্তুষ্টি বিধানই ছিল তাঁর লক্ষ। এ লক্ষ বাস্তবায়নে তিনি সাধারণ ও খেটে খাওয়া মানুষের মতো জীবনযাপন করেছেন। তিনি কখনো অন্য অনেক রাজনীতিবিদের মতো বিলাসী জীবনযাপন করেননি। ব্যক্তিস্বার্থে কখনো বিসর্জন দেননি আদর্শবোধ। মওলানা ভাসানীর আধ্যাত্মিক সাধনা ও রাজনৈতিক মতবাদ ভারতের আসাম, আজকের বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে বিপুল প্রভাব ফেলে।
ড. আবিদ বলেছেন, তিনি এক যুগ মওলানা ভাসানীর ওপর গবেষণা চালিয়েছেন। এ উদ্দেশ্যে ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশে এসে এ মরহুম নেতার ওপর তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ শুরু করেন। মওলানা ভাসানীর ওপর প্রকাশিত প্রায় সব ধরনের বই, সরকারি দলিল সংগ্রহ এবং মুরিদ ও রাজনৈতিক সহকর্মীদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। ১৯৯৬ সালেও একই কারণে আবার দেশে আসেন। মওলানা ভাসানীকে বলা হয় বাম রাজনীতির প্রবক্তা। কেউ কেউ তাঁকে কমিউনিস্ট বলেও নাক সিটকিয়েছেন। অথচ ভাসানীকে যারা চেনেন, তারা স্বীকার করবেন গরিব-দুঃখী মানুষের মুক্তির এই মহান দিশারি কমিউনিস্ট ছিলেন না। ছিলেন একজন খাঁটি মুসলমান। একজন আধ্যাত্মিক সাধক। লাখ লাখ মুরিদের কাছে তাঁর পরিচিতি ছিল কামেল পীর হিসেবে। বলা যায়, রসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রিয় সাহাবি হজরত আবু জর গিফারীর (রা.) অনুসারী ছিলেন তিনি। বিশ্বাসী ছিলেন ইসলামি সমাজবাদে। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার মূর্ত প্রতীক। মওলানা ভাসানীর মতো বড় মাপের নেতা পৃথিবীতে খুব কমই জন্ম নিয়েছেন। জীবদ্দশায় তাঁকে বলা হতো আফ্রো-এশিয়া লাতিন আমেরিকার কণ্ঠস্বর। এ মজলুম জননেতা সারা জীবন দেশের গরিব-দুঃখী মানুষের জন্য লড়লেও আজ তিনি বিস্মৃত প্রায়। এর চেয়ে দুঃখের কথা আর কীই-বা থাকতে পারে?
লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক
ইমেইল : [email protected]