যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনকে ল্যান্ড মাইন সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ল্যান্ড মাইনগুলো দ্রুতই ইউক্রেনের কাছে পাঠানো হবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশা, এই মাইনগুলো ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডে ব্যবহৃত হবে এবং রাশিয়ার আগ্রাসন প্রতিহত করতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
এই খবর এমন সময় এলো, যখন মার্কিন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ার ভূখণ্ডে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে আলোচনার মধ্যেই উত্তেজনা চরমে। গত রোববার একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, যেখানে দাবি করা হয়েছে যে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইউক্রেনকে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলার জন্য অনুমতি দিয়েছেন।
এরই মধ্যে সোমবার রাতে ইউক্রেন ও রাশিয়া উভয় পক্ষ জানিয়েছে, তাদের ভূখণ্ডে বড় ধরনের ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। এসব হামলা যুদ্ধ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস জানিয়েছে, নিরাপত্তা হুমকির কারণে তারা সাময়িকভাবে কার্যক্রম বন্ধ রাখছে। দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০ নভেম্বর একটি সম্ভাব্য বিমান হামলার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া গেছে।
বাইডেন প্রশাসনের এই পদক্ষেপ রাশিয়ার সঙ্গে উত্তেজনাকে আরও তীব্র করে তুলতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউক্রেনকে ল্যান্ড মাইন ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি রাশিয়ার বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছে। তবে এই পদক্ষেপ বিশ্ব রাজনীতিতে কী প্রভাব ফেলবে, তা এখনই বলা কঠিন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল