সিলেটে ছাত্রদল নেতা খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত যুবদলকর্মী গা ঢাকা দিয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ওই যুবদলকর্মীর দোকানের কর্মচারীকে আটক করেছে। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় মামলা হয়নি।
জানা গেছে, কানাইঘাট পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও পৌরসদরের ধনপুর গ্রামের তাজ উদ্দিনের ছেলে মো. আবদুল মুমিন (২৮) ও যুবদলকর্মী পৌরসদরের দুর্লভপুর গ্রামের মৃত জাফর মিয়ার ছেলে রাজু আহমদের বন্ধুত্ব দীর্ঘদিনের। দুইজনই কানাইঘাট পৌরসদরে ব্যবসা করতেন। সম্প্রতি তাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। গত সোমবার বিকেলে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে রাজু ক্ষুর দিয়ে মো. আবদুল মুমিনের পেটে আঘাত করে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে স্থানীয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে যুবদলকর্মী রাজু পলাতক রয়েছে।
এদিকে, মঙ্গলবার বেলা আড়াইটায় গ্রামের বাড়ি কানাইঘাট পৌরসদরের ধনপুর জামে মসজিদে মো. আবদুল মুমিনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।
কানাইঘাট থানার ওসি মো. আব্দুল আউয়াল জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের পরিবার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজুর দোকানের এক কর্মচারীকে থানায় আনা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত রাজুকে গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ