যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় আগামী ২০ জানুয়ারি শপথ গ্রহণের পরই জরুরি অবস্থা জারি করে দেশ থেকে কাগজপত্রহীন তথা ‘অবৈধ অভিবাসী’ তাড়ানোর কার্যক্রম শুরু করবেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার ট্রুথ সোস্যালে এমন অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন তিনি। বিষয়টি গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার ও প্রকাশিত হয়েছে। এর ফলে বাইডেন-কামালার আমলে সেন্ট্রাল আমেরিকার দেশগুলো থেকে আসা ২২ লক্ষাধিক মানুষসহ অনেক আগে থেকেই বসবাসরত কাগজপত্রহীনরা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন। এমন প্রায় সোয়া কোটি অভিবাসীর মধ্যে লক্ষাধিক বাংলাদেশি থাকলেও ‘তাদের দুশ্চিন্তার কারণ নেই’ বলে জানিয়েছেন ইমিগ্রেশন অ্যাটর্নিরা।
এ বিষয়ে খ্যাতনামা মার্কিন অ্যাটর্নি অশোক কর্মকার, মঈন চৌধুরী ও জান্নাতুল রুমা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান যে, যেসব অভিবাসী কোনো প্রোগ্রামে আবেদন করেছেন এবং এখনো স্থায়ীভাবে বসবাসের সিদ্ধান্ত পাননি, তারা কাগজপত্রহীনের পর্যায়ে পরিণত হননি। যাদের আবেদন নাকচ হয়েছে এবং পরবর্তী সময়ে উচ্চ আদালতে আপিল করেননি— কেবলমাত্র তারা ট্রাম্পের পরিকল্পিত অভিযানের ভিকটিম হতে পারেন। এ ধরনের প্রবাসীর সংখ্যা খুবই কম বলেও অ্যাটর্নিরা উল্লেখ করেছেন।
অ্যাটর্নিরা আরও বলেছেন, ২০ জানুয়ারির আগে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রহীনদের উচিত হবে অভিজ্ঞ আইনজীবীর শরণাপন্ন হয়ে উচ্চতর আদালতে আপিল করার। সেই আপিল-আবেদন গৃহীত হলেও ট্রাম্পের এই ‘অভিবাসনবিরোধী অভিযান’ থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, গত তিন বছরে এল সালভেদর, হন্ডুরাস ও মেক্সিকোসহ বিভিন্ন দেশের ২২ লাখের বেশি নারী-পুরুষ দক্ষিণের সীমানা হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকে পড়েছেন। তাদের অনেকেই স্থায়ীভাবে বসবাসের আবেদন করেননি। কিংবা আবেদনের পর তা নাকচ হয়েছে-কেবলমাত্র তারাই ট্রাম্পের প্রধান টার্গেট।
ট্রাম্পের নির্বাচনী অঙ্গীকারের অন্যতম হচ্ছে এসব অভিবাসীকে নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়া। পাশাপাশি সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্তি করা।
কংগ্রেসের উভয়কক্ষে রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের এ অঙ্গীকার বাস্তবায়নে তেমন সমস্যা হবে না বলে শীর্ষস্থানীয় মার্কিন মিডিয়াতে বলা হচ্ছে। এছাড়া, ডেমক্র্যাটিক পার্টির অনেক কংগ্রেস ম্যান-সেনেটরও ‘অবৈধ অভিবাসী’ তাড়ানোর পক্ষে।
বিডি প্রতিদিন/ইই