আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠীর রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শেখ হাসিনা, রাশেদ খান মেনন ও হাসানুল হক ইনুর প্রতীকী কফিন মিছিল করেছে ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্রজনতা’ নামে একটি সংগঠন।
বুধবার মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনাতয়নের (টিএসসি) পায়রা চত্বর থেকে শুরু হয়ে ভিসি চত্বর, হলপাড়া, কলাভবনসহ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় টিএসসিতে এসে শেষ হয়।
এর আগে আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টি যেন আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সে বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার প্রধান সংগঠক বিন ইয়ামিন মোল্লা।
এ সময় বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ফ্যাসিবাদের হামলায় জুলাই-আগস্টে যারা প্রাণ হারিয়েছে, তারা আর কখনও ফিরবে না। তাহলে ফ্যাসিবাদ কেন আবার ফিরে আসবে। ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রতি বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলো দু’হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাদেরকে সাথে নিয়ে নির্বাচন করার স্বপ্ন দেখছে। তাদের এমন স্বপ্ন এই বাংলাদেশে আর কখনও বাস্তবায়ন হতে দেওয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বিএনপি একটি বড় দল হিসেবে নাকি আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের রায় দিয়েছেন। আমি তাকে জিজ্ঞেস করতে চাই- আপনাদের ম্যান্ডেট কে দিয়েছে? আহত ও শহীদদের ম্যান্ডেট হলো- আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। আওয়ামী লীগের দোসররা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। এখনও আহতরা হাসপাতালে কাতরাচ্ছে। অথচ আমাদের শুনতে হচ্ছে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসবে। আন্দোলনের চেতনা ধরে রাখতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের দেশের উন্নয়নের স্বার্থে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে নিষিদ্ধ করতে হবে। আওয়ামী লীগের দোসররা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। যে ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছে, আহত হয়েছে তারা চায় না আওয়ামী লীগ ফিরে আসুক। এই বিষয়ে উপদেষ্টাদের কাছে থেকে আমরা সুস্পষ্ট বিবৃতি চাই।
আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, আমরা ফ্যাসিস্ট তাড়ানোর ১০০ দিন পার হওয়ার পরও ফ্যাসিবাদীরা উঁকিঝুঁকি করছে। বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম করছে। উপদেষ্টা পরিষদেও যুক্ত হচ্ছে। তাদের কবর দেওয়ার জন্য ছাত্র-জনতা আবারও এক হয়েছে।
এ সময় মিছিলে অংশ নেওয়া ছাত্র-জনতা ‘আওয়ামী লীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না; জাতীয় পার্টির ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দিয়ে প্রতিবাদ জানান।
বিডি প্রতিদিন/একেএ