পশ্চিম পেরুল। সবুজ ছায়া ঢাকা গ্রাম। গ্রামটি কুমিল্লা লালমাই উপজেলায় অবস্থিত। গ্রামের বাতাসে ভাসে ধানের ফুলের মিষ্টি ঘ্রাণ আর পাখির কলকাকলি। এই গ্রামে একজন অধ্যাপক বিশ^ নাগরিক গড়ার চেষ্টা করে চলেছেন। তিনি বিনামূল্যে গ্রামের শিক্ষার্থীদের ইংরেজিসহ বিভিন্ন বিষয়ে পড়ান। গণপাঠাগার চালু করেছেন। মায়ের নামে ঊষা স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে প্রতি বছর শিক্ষা বৃত্তি ও দুস্থদের সহায়তা দেওয়া হয়। গ্রামে একটি মহাশ্মশান প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি অধ্যাপক অমøান কুসুম রায়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফয়েজগঞ্জ থেকে পশ্চিমে সবুজ মাঠের মাঝ দিয়ে গ্রামে একটি সড়ক প্রবেশ করেছে। সড়কের শেষ প্রান্তে পশ্চিম পেরুল। গ্রামের প্রথমে মন্ডলবাড়ি। বাড়ির প্রথমে বসন্ত- কৌশল্যা নিবাস। বাড়িতে ঢুকে হাতের বাম পাশে দুই তলা শ্রীধর ভবন। নিচতলায় ছেলেদের পড়ানোর কক্ষ ঊষা স্মৃতি পাঠাগার। এখানে শিক্ষার্থীদের আনাগোনা। ওপরের তলায় বড় বোনের নামে দেবিকা স্মৃতি গ্রন্থাগার। সেখানেও পড়ানো ও পাঠাগার নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ৭০ বছর বয়সের শিক্ষক অমøান কুসুম রায়। তাঁকে বয়স ছুঁতে পারেনি। যেন এখনো ৪০-এর ঘরে রয়েছেন। তাঁকে সহযোগিতা করছেন তাঁর স্ত্রী আলীশ^র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক অনিতা দত্ত। এ ছাড়া তাঁরা ফসল উৎপাদন ও বাগান করা নিয়ে সময় কাটান। পঞ্চম শ্রেণির আবু বকর সিদ্দিক ও অষ্টম শ্রেণির সায়ন্ত সাহা বলেন, স্যারের কাছে আমরা ইংরেজিসহ বিভিন্ন বিষয় পড়ি। তিনি সহজ করে ইংরেজি পড়ান। তার কাছে পড়ে আমাদের রেজাল্ট ভালো হচ্ছে। আমাদের মতো অনেকে স্যারের কাছে বিনামূল্যে পড়েন। অনিতা দত্ত বলেন, অমøান কুসুম রায় তার স্বপ্ন পূরণে গ্রামে এসেছেন। জীবিকা ও শিক্ষা ছাড়া শহরে থাকার খুব প্রয়োজন দেখি না। গ্রামে স্বজনদের সঙ্গে সুন্দর সময় কাটে। আমাদের কাজে প্রবাসী ছেলে প্রতীক রায় ও মেয়ে নীরা রায়ও সহযোগিতা করেন। অমøান কুসুম রায় বলেন, আমাদের সন্তানরা মেধাবী। বিশ^মঞ্চে নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা রয়েছে তাদের। রয়েছে অফুরন্ত সম্ভাবনা। যারা ইংরেজির দুর্বলতার কারণে এগিয়ে যেতে পারেন না। তাদের এগিয়ে দিতে চেষ্টা করছি। জন্ম এই গ্রামে। বাবা শ্রীধর কান্তি রায় রেলওয়েতে চাকরি করতেন। সে সুবাদে চট্টগ্রামে শৈশব ও যৌবনকাল কেটেছে। চাকরির কারণে বিভিন্ন শহরে গিয়েছি। ২০১৫ সালে অবসর নিয়েছি। শহরের জীবন তখন থেকে আর টানে না। নিজেকে বন্দি মনে হয়। এই গ্রামে আমার নাড়ি পোঁতা। গ্রামের মানুষের জন্য কিছু করার আগ্রহ রয়েছে। এ ছাড়া গ্রামের মতো এত বড় সবুজ ক্যাম্পাস কোথায় পাওয়া যাবে? এখানে প্রাণভরে বিশুদ্ধ বাতাসে শ^াস নেওয়া যায়।
শিরোনাম
- নড়াইলে মেডিকেল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা
- তাইওয়ান প্রণালীতে চীনা মহড়ায় নিরাপত্তাকে ‘ঝুঁকির’ মধ্যে ফেলেছে : যুক্তরাষ্ট্র
- দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে তারেক রহমানের নেতৃত্বে : এ্যানি
- ঠাকুরগাঁও কারাগারে ব্যতিক্রমী ঈদ আয়োজন
- ওয়ানডে সিরিজেও কিউইদের কাছে পাকিস্তানের শোচনীয় পরাজয়
- সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশে জঙ্গি সমস্যা উত্থিত হয়নি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্তে বিমসটেক সদস্যদের সহযোগিতা চাইল বাংলাদেশ
- গাড়িতে হাওয়া দেওয়ার মেশিন বিস্ফোরণে নিহত ১, আহত ২
- ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পৃথক সংঘর্ষে আহত অন্তত ৪৫
- ‘নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে ন্যূনতম যে সংস্কার প্রয়োজন তা করতে হবে’
- দুই দিনেও মেরামত হয়নি খোলপেটুয়া নদীর বাঁধ, পানিবন্দি ১১ গ্রাম
- লিবিয়ায় অপহৃত ২৩ বাংলাদেশিকে উদ্ধার
- বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
- ১২ ঘণ্টা গ্যাসের স্বল্পচাপ থাকবে যেসব এলাকায়
- পুতুল নাচের নামে অশ্লীলতা, গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন
- দর্শনীয় স্থান ঘুরে লালমাইয়ে বসুন্ধরা শুভসংঘের বন্ধুদের ঈদ আনন্দ
- চরমপন্থার সুযোগ কাউকে নিতে দেওয়া হবে না : তথ্য উপদেষ্টা
- মধ্যপ্রাচ্যে আরও রণতরী পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, বাড়ছে উত্তেজনা
- ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির মার্কিন প্রস্তাব মানতে নারাজ রাশিয়া
- ঢাকার বাতাস আজ কতটা অস্বাস্থ্যকর?
নিবেদিতপ্রাণ এক শিক্ষক
সম্মানি ছাড়াই ইংরেজি পড়ান অম্লান স্যার
মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা
প্রিন্ট ভার্সন

পড়ানো ও পাঠাগার নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ৭০ বছর বয়সের শিক্ষক অমøান কুসুম রায়। তাঁকে বয়স ছুঁতে পারেনি। যেন এখনো ৪০-এর ঘরে রয়েছেন। তাঁকে সহযোগিতা করছেন তাঁর স্ত্রী আলীশ^র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক অনিতা দত্ত...
টপিক
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর