দেশের সবচেয়ে বড় মোটরসাইকেলের হাট বসে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায়। প্রতিদিন কয়েক কোটি টাকার বাইক বিক্রি হয় এ হাটে। কম মূল্যে ভালো মানের বাইকের জন্য দূরদূরান্ত থেকে ক্রেতারা আসেন এ হাটে। হাটসংশ্লিষ্টরা জানান, আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার ট্রাক টার্মিনালে সপ্তাহের শুক্রবার বসে পুরাতন বাইকের হাট। বেলা ১২টা থেকে শুরু হয়ে হাট চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। জুমার নামাজের পরপরই জমজমাট হয়ে ওঠে হাটটি। প্রতি হাটে অর্ধ লাখ লোকের সমাগম হয় এখানে। উদ্দেশ্য পছন্দের বাইক কেনাবেচা। হাটে আসা ক্রেতা চুয়াডাঙ্গার মো. প্রিন্স বলেন, অনেক বাইকের মধ্যে সহজেই নিজের পছন্দের বাইক কিনতে ক্রেতারা আসেন এ হাটে। দামও সাশ্রয়ী। এ কারণে দূরদূরান্ত থেকে ক্রেতারা আসেন আলমডাঙ্গার বাইক হাটে। এখানে ১০ হাজার টাকা থেকে ৪-৫ লাখ টাকা মূল্যের বাইক আসে। সে কারণে সব শ্রেণির ক্রেতার চাহিদা পূরণ হয়। পাবনা জেলার ঈশ^রদী থেকে আসা রমজান আলী বলেন, তিনি কয়েকমাস আগে নিজের জন্য এ হাটে বাইক কিনতে এসেছিলেন। এখন এক আত্মীয়ের জন্য বাইক কিনবেন। এখানে সহজে ও কম ইজারায় বাইক কেনা যায়। বিক্রেতা সহিদুল ইসলাম বলেন, হাটের নিরাপত্তা ও পরিবেশ ভালো হওয়ায় ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাবেচা করতে পারেন। এ কারণে দিনদিন জনপ্রিয়তা বাড়ছে হাটটির। হাটসংশ্লিষ্টরা বলেন, আলমডাঙ্গার পুরাতন মোটরসাইকেলের হাটে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়কেই ৭০০ টাকা হারে ইজারা পরিশোধ করতে হয়। তবে নিয়মিত ব্যাপারীদের জন্য বাইক বিক্রির ইজারা ৫০০ টাকা হারে নির্ধারিত আছে।
হাটের ইজারাদার জানান, ২০১২ সাল থেকে হাটটি চলছে। এখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্রেতারা আসেন। এলাকায় পুরাতন বাইকের ব্যাপারী ও বিক্রেতারা সহজেই তাদের বাইক বিক্রি করতে পারেন। এখানে প্রতি হাটে এক থেকে দেড় কোটি টাকার বেচাকেনা হয়। এটিই দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় বাইকের হাট।