দীর্ঘ এক মাস পর ফের পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সৈকত। ঈদের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার সকাল থেকে আনন্দ উল্লাসে মেতেছেন আগত পর্যটকরা। অনেকে সমুদ্রের নোনা জলে গাঁ ভাসিয়ে হই হুল্লোরে করেছেন। কেউ প্রিয়জনকে নিয়ে সেলফি তুলে স্মৃতির পাতায় রেখে দিচ্ছেন। কেউ কেউ সৈকতের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ঘুরে দেখছেন বিভিন্ন বাহনে চরে। কেউবা আবার বেঞ্চিতে বসে সমুদ্রের তীরে আছরে পড়া ছোট ছোট ঢেউ মোহনীয় গর্জন সহ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। মোটকথা সৈকতে বিরাজ করছে ঈদ উৎসবের আমেজ।
স্থানীয়রা জানায়, কুয়াকাটায় দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সৈকতে দাড়িয়ে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখা যায়। তাই পর্যটকরা বারবার ছুটে আসেন। দীর্ঘ একমাস পর পর্যটক শূন্য কুয়াকাটা এখন পর্যটকদের পর্যটকদের উচ্ছাসিত উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মত। পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিক্রি বেড়েছে। বুকং রয়েছে অধিকাংশ হোটেল মোটেল। আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিষ্ট, থানা পুলিশ ও নৌ-পুলিশের সদস্যরা।
এদিকে সীমা বৌদ্ধ বিহার, শ্রীঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, রাখাইন মার্কেট, তিন নদীর মোহনা, গঙ্গামতি, লেম্বুরবন, ঝাউবন, শুটকি পল্লী সহ সকল পর্যটন স্পটে এখন পর্যটকদের বাড়তি আনাগোনা। রমজানে কুয়াকাটায় কোনো পর্যটক ছিল না। দীর্ঘ এক মাস পর ফের পর্যটক আসতে শুরু করেছে। আরো বেশি পর্যটকের আগমন ঘটবে বলে জানা সংশ্লিষ্ট পর্যটন ব্যবসায়িরা।
ফারুক-রুমানা দম্পত্তি বলেন, সকাল থেকে কুয়াকাটার আকাশ অনেকটা মেঘলা ছিলো। দখিনা হাওয়া এবং সৈকতে ছোট ছোট ঢেউ আছড়ে পড়া দৃশ্য, এ এক দারুণ অনুভ‚তি। ঈদের ছুটির ভ্রমণ স্বার্থক হয়েছে এই দম্পত্তি জানান।
পর্যটক আরিয়ন হোসেন আজাদ বলেন, এর আগে কুয়াকাটায় আসা হয়নি। ঈদের ছুটি পেয়ে এসেছি। জোয়ারের সময় সবাই একসঙ্গে সাগরে সাঁতার কাটেছি। ভালই লেগেছে।
অপর এক পর্যটক মো.নাজমুল আহসান রিয়াদ বলেন, পরিবার-পরিজন নিয়ে কুয়াকাটায় এসেছেন। বেশ আনন্দ উল্লাস করেছেন। সবক’টি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছেন। তবে এখানকার পরিবেশ খুবই ভাল বলে তিনি জানান।
সৈকত লাগোয়া প্রসাধন সামগ্রীর দোকানি সুলতান আকন বলেন, আশা করি আরো বেশি পর্যটক আসবে এবং আমরা বিগত এক মাসের লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারব।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ রিজিয়নের সহাকারী পুলিশ সুপার মো.হাবিবুর রহমান বলেন, আগত পর্যটকদের নিরপত্তা দিতে ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্য, থানা পুলিশ, নৌ পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা মাঠে কাজ করছেন। আশা করি, পর্যটকরা নিরাপদে কুয়াকাটা ভ্রমণ উপভোগ করতে পারবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম