শিরোনাম দেখে হয়তো ভাবছেন, এটা আবার কী ধরনের শসা, যার দাম এত চড়া। আসলে এটি প্রকৃতপক্ষে সবজি জাতীয় যে শসা আমরা নিয়মিত খাই, সেটি নয়। এটি হচ্ছে ‘সি কিউকাম্বার’ বা সামুদ্রিক শসা। অর্থাৎ এর নামের সঙ্গেই ‘শসা’ শব্দটি জুড়ে রয়েছে। এটি মূলত সমুদ্রে বসবাসকারী এক ধরনের অমেরুদণ্ডী প্রাণী।
ভারত এবং শ্রীলঙ্কার মাঝে মান্নার এবং মান্ডাপম এলাকায় বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরে মূলত একাইনোডার্মাটা শ্রেণির এই জীব পাওয়া যায়। সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় এই প্রাণীগুলোর গুরুত্বপূর্ণ আবদান রয়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে এই সামুদ্রিক শশার বিপুল চাহিদা রয়েছে। জানা গেছে, যৌনশক্তিবর্ধক ওষুধ, ক্যান্সারের চিকিৎসা, তেল, ক্রিম এবং প্রসাধনী সামগ্রী বানাতে এই সামুদ্রিক জীবকে ব্যবহার করা হয়। ওষুধ ছাড়াও চীন-সহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে সামুদ্রিক শসা দামি রেসিপির উপাদান।
সম্প্রতি ভারতের তামিলনাড়ুর উপকূলবর্তী রামেশ্বরমে প্রায় ২০০ কেজি সামুদ্রিক শসা জব্দ করেছে দেশটির উপকূলরক্ষী বাহিনী।
ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরেই উচ্চমূল্যের এই প্রাণী পাচারের অভিযোগ ছিল। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মান্ডাপম এলাকায় একটি জলযানে হানা দিয়ে পাঁচটি ড্রাম ভর্তি সামুদ্রিক শসা জব্দ করা হয়েছে, যার বাজারমূল্য ৮০ লাখ রুপিরও বেশি (বাংলাদেশি মুদ্রায় এক কোটি ১৩ লাখ ৬৮ হাজারেরও বেশি)। সে হিসেবে প্রতি কেজি এই সামুদ্রকি শসার দাম পড়ে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫৬ হাজার টাকারও বেশি।
মান্নার সন্নিহিত সংরক্ষিত অঞ্চল ‘মেরিন ন্যাশনাল পার্ক’ থেকে বেআইনিভাবে এই ‘সি কিউকাম্বার’গুলো সংগ্রহ করা হয়েছিল বলে জানানো হয়েছে। মান্নার এলাকা দীর্ঘ দিন ধরেই সামুদ্রিক শসা চোরাচালানের অন্যতম কেন্দ্র। সূত্র: ইউএনআই, দ্য প্রিন্ট
বিডি প্রতিদিন/একেএ