তার আসল নাম যে ড্যারেন ওয়াটকিন্স জুনিয়র, কিন্তু সেটা আর কয়জনই বা জানেন। বিশ্বজুড়ে তিনি পরিচিত আই শো স্পিড নামে। বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটর। ২০ বছর বয়সেই ওহায়োর সিনসিনাটির একটি ছোট্ট ঘর থেকে শুরু করে বর্তমানে ইউটিউবে পাঁচ কোটিরও বেশি সাবস্ক্রাইবার রয়েছে স্পিডের।
২০১৭ সালে লাইভ স্ট্রিমিং শুরু করেন স্পিড। শুরুর দিকে তার দর্শকসংখ্যা ছিল হাতে গোনা কয়েকজন। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যখন সেই সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে, তখনই আত্মবিশ্বাস পান তিনি। এক সাক্ষাৎকারে স্পিড জানালেন, ‘যখন দেখলাম মানুষ আমাকে দেখতে শুরু করেছে, মনে হলো এটা নিয়ে ভাবা যেতে পারে। আমি গোটা বিষয়টায় মজা পেয়েছিলাম, যেটা আমাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে’।
প্রথম প্রথম ফিফা, এনবিএ-২কে, ফোর্টনাইট-এর মতো জনপ্রিয় গেম খেলে ভক্তদের আকর্ষণ করতেন তিনি। তবে স্পিড জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তার অপ্রতিরোধ্য ও আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে। স্পিডের বহু লাইভ রিঅ্যাকশন ও মজাদার মুহূর্ত এখন ইন্টারনেটের ভাইরাল মিম সংস্কৃতির অংশ। এই ‘মিম ফ্যাক্টর’ তাকে বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় করে তুলেছে এটা নিজেও স্বীকার করেন তিনি। এমনকি তার বাড়ি থেকে সুদূর চীনেও রয়েছে স্পিডের বিশাল ফ্যানবেস।
ফুটবলবিশ্বের জীবন্ত কিংবদন্তি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ভক্ত স্পিড কিছুদিন আগেই দেখা করেছিলেন সিআর সেভেনের সঙ্গে। সেই ভিডিও বিশ্বজুড়ে ভাইরাল হয়েছিল। ইউটিউবে ক্যারিয়ার শুরুর মাত্র কয়েক বছরের ভিতরে ২০২৪ সালের ‘স্ট্রিমার অফ দ্য ইয়ার’ পুরস্কার পান স্পিড। তবে ভবিষ্যতে আরও ব্যতিক্রমী কিছু করার স্বপ্ন রয়েছে তার। সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ‘একবার ইলন মাস্কের সঙ্গে কথা হলেই আমি মহাকাশ থেকে লাইভস্ট্রিম করার কথা বলব তাকে’।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ