বাংলাদেশের বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে চীনের কুনমিং পর্যন্ত ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা করছে চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইনস। এর ফলে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের মানুষ সহজে চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর কুনমিংয়ের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিতে পারবেন। গতকাল চীনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, চীন এরই মধ্যে কুনমিংয়ের চারটি হাসপাতাল বাংলাদেশি রোগীদের জন্য বিশেষভাবে বরাদ্দ করেছে। তবে বিমান ভাড়ার উচ্চ খরচকে বড় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দেখা হচ্ছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কুনমিং ও চট্টগ্রামের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালুর ফলে ভ্রমণের খরচ ও সময় উভয়ই কমে যাবে। ফলে বাংলাদেশি রোগীরা সহজেই চীনের স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নজরুল ইসলাম জানান, কুনমিংয়ের হাসপাতালে বাংলাদেশিদের জন্য আলাদা ফ্লোর বরাদ্দ রাখা হয়েছে। চিকিৎসার খরচ সহনীয়। একজন চীনা নাগরিকের সমান ফি দিয়ে থাকেন একজন বাংলাদেশি রোগী।
চীনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা ভবিষ্যতে বাংলাদেশিদের জন্য আরও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র উন্মুক্ত করবে। কুনমিং ভ্রমণ সহজ করতে ঢাকা থেকে কুনমিং রুটে বিমানভাড়া কমানোর উদ্যোগও নিয়েছে ঢাকার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। এপ্রিলে বাংলাদেশের একদল সাংবাদিককে কুনমিংয়ে পাঠানো হবে সরেজমিনে চিকিৎসা সুবিধাগুলো দেখে আসার জন্য। গত মাসে প্রথমবারের মতো কয়েক ডজন বাংলাদেশি চিকিৎসার জন্য কুনমিংয়ে যান। তারা সেখানকার হাসপাতালগুলোর মানের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তবে অনেকেই যাতায়াত ব্যয় নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন।