শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ আপডেট: ২৩:১২, শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

আমার আরেক মা

ইমদাদুল হক মিলন
প্রিন্ট ভার্সন
আমার আরেক মা

কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি। নটর ডেম কলেজে চান্স পেয়েছি। দুটো সমস্যা দেখা দিল। ভর্তির টাকা জোগাড় করা আর গেন্ডারিয়া থেকে আরামবাগে গিয়ে কলেজ করার খরচ। নটর ডেমে ভর্তি হওয়া হলো না। জগন্নাথেও ভর্তির ডেট চলে যাচ্ছে। অসহায়ের মতো ঘুরে বেড়াই। ভর্তির টাকা জোগাড় হয় না। অধ্যাপক মোমিন নামে এক ভদ্রলোকের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে। কোনো এক মফস্বল কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। পঁয়ত্রিশ-ছত্রিশ বছর বয়স। নিঃসন্তান। আমাকে খুব ভালোবাসেন। বাংলাবাজারে তাঁদের বইয়ের বিজনেস। পৈতৃক ব্যবসা। অন্য ভাইরাও মালিক। মোমিন সাহেব বড়। তাঁদের বইয়ের দোকানটির নাম আজিজিয়া লাইব্রেরি। দোকানের ভিতর একপাশে তাঁর ছোট্ট কেবিন। সেখানে বসে লেখালেখির কাজ করেন। সংস্কৃতিমনা মানুষ। একটা মাসিক পত্রিকা প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছেন। পত্রিকার নাম দিয়েছেন শুভেচ্ছা। ওই নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। অনেক সময় আমাকে বাসা থেকে ডেকে বাংলাবাজারে নিয়ে যান। একদিন হাঁটতে হাঁটতে যাচ্ছি। বাহাদুর শাহ্ পার্কের সামনে এসে তীক্ষè চোখে আমার মুখের দিকে তাকালেন। কী হয়েছে তোমার? এত মনমরা হয়ে আছ কেন? আমি কেঁদে ফেললাম। সবাই কলেজে ভর্তি হয়ে গেছে। আমি ভর্তি হতে পারিনি। বাসা থেকে টাকা দিতে পারছে না। মোমিন ভাই আমার কাঁধে হাত দিলেন। হয়ে যাবে, চিন্তা করো না। পরদিন জগন্নাথ কলেজে নিয়ে তিনি আমাকে ভর্তি করে দিয়ে এলেন। পুরো টাকাটা নিজের পকেট থেকে দিলেন। এসব ভাবলে নিজেকে বড় ভাগ্যবান মনে হয়। কত মানুষের ভালোবাসা আমি পেয়েছি। নিঃস্বার্থভাবে কত মানুষ সেসব কষ্টের দিনে আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। তখনো নাসিমা ও ফাতেমাকে পড়াই। কামালদের তিন ভাইবোনকে পড়াই। যেটুকু টাকা পাই সংসারে দিয়ে দিতে হয়। আব্বার কর্মস্থল মিউনিসিপ্যালিটিতে যাই প্রায়ই। বড় ভাইয়ের টঙ্গীর চাকরিটা আছে। আব্বার যাঁরা ঊর্ধ্বতন ছিলেন তাঁরা চাইছেন মিউনিসিপ্যালিটিতে আমাকে একটা চাকরি দিতে। বয়স কমের কারণে চাকরি দিতে পারছেন না। বছরখানেকের মধ্যে অবশ্য আমার বড় ভাইয়ের চাকরি হয়ে গেল মিউনিসিপ্যালিটিতে। কেরানির চাকরি। টঙ্গীর চাকরি ছেড়ে তিনি যোগ দিলেন মিউনিসিপ্যালিটিতে। লক্ষ্মীবাজারে অফিস। তারও বছরখানেকের মধ্যে আমার নামে একটা ট্রেড লাইসেন্স করলেন। এক বন্ধুর মায়ের কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে চাকরির ফাঁকে ফাঁকে কন্ট্রাক্টরির কাজ শুরু করলেন। কাজ দেখাশোনা করতে হতো আমাকে। ওই করে করে কয়েক বছরের মধ্যে সংসারের চেহারা বদলাতে শুরু করেছিল। সচ্ছলতার মুখ দেখতে শুরু করেছিলাম আমরা। কিন্তু তার আগের দিনগুলো অতি দুঃখ-দারিদ্র্যের মধ্যে কাটছিল। সেই অবস্থায় একটা খুব বড় আশ্রয়ের জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন আম্মা। আম্মা মানে আমার ছাত্র কামালের মা। কামালকে পড়াতে গেলেই আম্মা প্রথমে আমার মুখের দিকে তাকাতেন। বোঝার চেষ্টা করতেন সকালে নাশতা করা হয়েছে কি না আমার। সন্ধ্যার দিকে পড়াতে গেলে প্রথমে চা-বিস্কুট খাওয়াতেন। রাতে ভাত না খেয়ে ফিরতে দিতেন না। খালুজান চুপচাপ ধরনের মানুষ। ফুড ইন্সপেক্টরের চাকরি করেন। ওই চাকরিতে প্রচুর ঘুষ খাওয়ার অবকাশ। কিন্তু খালুজান হচ্ছেন চূড়ান্ত সৎ একজন মানুষ। অসৎ পয়সা একটিও জীবনে হাতে নেননি। যদি তাই করতেন, তাহলে ঢাকা শহরে কামালদের পাঁচ-ছয়টা বাড়ি থাকতে পারত। সেই অসামান্য মানুষটিও আমাকে খুব ভালোবাসতেন। পরিবারের সবার সঙ্গে টেবিলে বসে আমি খেতাম। আম্মা এটা-ওটা পাতে তুলে দিতেন। কামালরা তিন ভাইবোন তত দিনে আমার খুব অনুরাগী হয়েছে। কামালের গানের প্রতি ঝোঁক। সেই ঝোঁক তো আমারও ছেলেবেলা থেকে। মিনু খালার দুঃসম্পর্কের এক দেবর আমার এ কথা জেনে সত্তর টাকা দিয়ে সিঙ্গেল রিডের পুরোনো একটা হারমোনিয়াম কিনে দিয়েছিলেন। ওই হারমোনিয়াম নিয়ে একটু একটু রেওয়াজ করতাম। একটা-দুটো গান তুলতে শিখেছি। সেই সময় আম্মা বাসা বদলে আমাদের রজনী চৌধুরী রোডের কাছে এস কে দাস রোডের একটা বাড়িতে এসে উঠলেন। বাড়ির সামনের গলিটি খুব সরু। তবে বাড়ির ভিতরটা বেশ বড় ও পরিচ্ছন্ন। গেট দিয়ে ঢুকলেই একটা উঠোন। দক্ষিণ পাশে রান্নাঘর। দুয়েকটা গাছও আছে বাড়িতে। একতলা বাড়িটির যে অংশ আম্মা ভাড়া নিয়েছেন সেখানটায় তিন-চারটা রুম। সন্ধ্যাবেলা রোজই কামালদের পড়াতে যাই। বাড়িতে টেলিভিশন কেনা হয়েছে। টেলিভিশনে নাটক দেখার জন্য সবার সঙ্গে বসে থাকি। এই বাড়িটাতে কামালের চাচাতো ভাইবোনরা প্রায়ই আসেন। লীনা আপা, বাবুলদা, আজাদদা, রুবেল, মণি, নীলু সবাই মিলে বেশ একটা জমজমাট পরিবেশ বাড়িতে। কামালের চাচা ফজলুল হক সাহেব অতি সম্মানীয় মানুষ। তিনি জজ। ধূপখোলা মাঠের দক্ষিণ পাশে দোতলা বাড়ি। ছিমছাম, স্নিগ্ধ পরিবেশ বাড়ির।

সেই সময় কোনো কোনো রাতে কামালদের সঙ্গে টেলিভিশন দেখতে দেখতে রাত গভীর হয়ে যেত। আমাদের বাসা কাছেই। তবু আম্মা আমাকে ফিরতে দিতেন না। আম্মার দুই ভাই ফিরোজ আর লিটন আম্মার সঙ্গে থাকেন। কামালদের মতো আমিও তাঁদের মামা বলি। ফিরোজ মামা আমাকে একটু বেশিই ভালোবাসেন। লিটন মামা আমার বয়সি। আমার সঙ্গে এসএসসি পাস করেছেন। ওই বয়সেই বেশ গম্ভীর। আমার সঙ্গে কথা বলতেন কম। তাদের সঙ্গে এক রুমে আমি থেকে যেতাম। এক রাতে মুকুলের সঙ্গে ওদের প্রেসে থেকে গেছি। প্রেসটা লক্ষ্মীবাজারে। মুকুলের বাবা গেছেন গ্রামের বাড়িতে। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে মুকুল পরোটা আর হালুয়া কিনে এনেছে, চা এনেছে। ওই সব খেয়ে ফিরতে ফিরতে সাড়ে নয়টা-দশটা বেজে গেছে। আম্মার বাসায় থাকলে সাধারণত এতটা বেলা করে ফিরি না। সেদিন দেরি দেখে আমার ছোট ভাই বাদল কামালদের বাসায় আমাকে খুঁজতে গেছে। রাতে বাড়ি ফিরিনি শুনে আম্মা দিশেহারা হয়ে গেলেন। বাদলের সঙ্গেই ছুটে এলেন আমাদের বাসায়। খানিক পর আমি ফিরেছি। আমার মায়ের চেয়ে আম্মাই আমাকে ধমকালেন বেশি। আমি মাথা নিচু করে বসে রইলাম।

মিজানুর রহমান কামাল নামে আমার এক নতুন বন্ধু হয়েছে। সীমান্ত গ্রন্থাগার-এর গলিতে ওদের বাড়ি। অতি অল্প সময়ে ভীষণ ঘনিষ্ঠতা হলো। আমার সঙ্গে জগন্নাথ কলেজেই ভর্তি হয়েছে। আইএসসি। মুকুল তো আছেই। এই তিনজন আমরা এক ফাঁকে বুলবুল একাডেমিতে ভর্তি হয়ে গেলাম গান শেখার জন্য। রবীন্দ্রসংগীত শিখব। তিন বন্ধু একসঙ্গে যাই গান শিখতে। আমার ছাত্র কামালের ইচ্ছে হলো, সে একটা হারমোনিয়াম কিনবে। পাটুয়াটুলীর মোড়ে বিখ্যাত যতীন এন্ড কোম্পানীর দোকান। হারমোনিয়াম কেনা হলো। নিজে গানের কিছুই তখনো শিখিনি। ওই বিদ্যা নিয়েই কামালকেও গান শেখাতে লাগলাম। দুটো মাত্র গান হারমোনিয়ামে তুলতে শিখেছি। কামালকে সারগাম শেখাবার ফাঁকে ফাঁকে সেই গান দুটোও গাইতে শেখাই। দুটোই রবীন্দ্রনাথের গান। ওগো নদী আপনবেগে পাগলপারা। আরেকটা যে রাতে মোর দুয়ারগুলি ভাঙলো ঝড়ে। আমার বন্ধুরা কমবেশি সবাই গান গাইতে পারত। মানবেন্দ্র তো খুবই ভালো গাইত। গেন্ডারিয়া স্কুলের এক অনুষ্ঠানে ফখরুল স্যার আমাকে দিয়ে গান গাইয়েছিলেন। তখন ক্লাস নাইনে পড়ি। নজরুলগীতি গেয়েছিলাম। নয়নভরা জল গো তোমার

দিনগুলো তখন বহু রকমের ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে কাটছিল। কলেজের পড়াশোনা, বড় ভাইয়ের কন্ট্রাক্টরির ব্যবসা দেখা, নাসিমা ও ফাতেমাকে পড়ানো, কামালদের পড়ানো, বুলবুল একাডেমি, এসবের ফাঁকে ফাঁকে সীমান্ত গ্রন্থাগারে গিয়ে বই পড়া আর বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা তো আছেই। বাড়ির কাছে এত বড় ধূপখোলা মাঠ। কখনো কখনো সেই মাঠে ঘুরতে যাই। খেলাধুলা পারি না কোনোটাই। কামালদের পরিবারে সবকিছুই সামলাতেন আম্মা। খালুজান পুরোপুরিই নির্ভর করতেন তাঁর ওপর। মোহাম্মদপুরের বাবর রোডে ২০ হাজার টাকায় আম্মা একটা বাড়ি কিনে ফেললেন। গেন্ডারিয়ার পাট চুকিয়ে চলে গেলেন মোহাম্মদপুরে। নাসিমা ও ফাতেমার ভাইয়েরাও মোহাম্মদপুরে বাড়ি কিনে চলে গেলেন। নাসিমা ও ফাতেমা আমার দুই বছরের জুনিয়র ছিল। এসএসসি পাস করে দুবোন ভর্তি হয়ে গেছে ইডেন গার্লস কলেজ-এ। আমাদের পরিবারটির স্ট্রাগল তখনো সহনীয় পর্যায়ে আসেনি। টিউশনি করে পঞ্চাশ টাকা রোজগার করতাম, তা-ও নেই। বড় ভাইয়ের কন্ট্রাক্টরি ব্যবসা টুকটাক এগোচ্ছে। পুুঁজি কিছুটা বাড়াতে পারলে ভালো করা যেত। আমরা টাকা পাব কোথায়? তবু চেষ্টা করে যাচ্ছি। আম্মা চলে গেছেন মোহাম্মদপুরে। আগে যখন তখন তাঁর কাছে যেতাম। বেতনের বাইরেও পাঁচ-দশ টাকা চাইলেই তিনি আমাকে দিতেন। তিনি তো চলে গেছেন দূরে!

একদিনকার কথা মনে আছে। একটাও পয়সা নেই পকেটে। কার কাছে চাইব? আম্মার কথা মনে পড়ল। বাস ভাড়া দিয়ে যে মোহাম্মদপুরে যাব, ভাড়ার পয়সাও নেই। গেন্ডারিয়া থেকে হাঁটা ধরলাম। গরমের দিন। দুপুর নাগাদ মোহাম্মদপুরের বাড়িতে গিয়ে হাজির হয়েছি। সেই বাড়িতে বড় একটা টিনের ঘর। রান্নাঘর আলাদা। উত্তরমুখী বাড়িটায় এক টুকরো উঠোনও আছে। আম্মা আমাকে দেখেই দুহাতে জড়িয়ে ধরলেন। ঘামে-ক্লান্তিতে মুখটা শুকিয়ে গেছে। মা তো! যা বোঝার বুঝে গেলেন। দুুপুরের খাওয়া হয়ে গেছে। আম্মা আমাকে গোসল করতে পাঠিয়ে সেই ফাঁকে চট করে আমার জন্য রান্না করলেন। বাসায় বলে গিয়েছিলাম আম্মার কাছে যাচ্ছি। সুতরাং কেউ চিন্তা করবে না। আম্মা আমাকে তাঁর কাছে তিন-চার দিন রেখে দিলেন। এভাবে মাঝে মাঝে যেতাম তাঁর বাড়িতে। দু-চার দিন থাকতাম। তত দিনে লেখালেখি শুরু করেছি। কন্ট্রাক্টরিতে মোটামুটি একটা অবস্থান তৈরি হয়েছে। বাসা বদলে আমরা এসে উঠেছি শাজাহান সাহেবের বাড়ির কাঠের দোতলা ঘরটির দোতলায়। দিন বদলাতে শুরু করেছে। আম্মার সঙ্গে যোগাযোগ কমে গেল। কামাল এসএসসি পাস করে নটর ডেমে ভর্তি হয়েছে। আম্মার ভাইয়েরা ৭৭ সালের দিকে একে একে জার্মানিতে চলে গেলেন। বন-এ থাকেন। আমি চলে গিয়েছিলাম ৭৯ সালের অক্টোবরে। ৮০ সালে কামালও চলে গেল মামাদের কাছে। কামাল থাকত ফিরোজ মামা ও লিটন মামার সঙ্গে। আমি বন থেকে চলে এসেছিলাম স্টুটগার্টে। সেখান থেকে বন-এ বেড়াতে গিয়ে কামালদের বাসায় একদিন গিয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত স্টুটগার্টের পাশের ছোট্ট শহর সিনডেলফিনগেনে থাকতাম আমি। বন থেকে কামাল একবার আমার ওখানে বেড়াতে এসেছিল। আমি ফিরে আসার কয়েক বছর পর কামালও ফিরে এলো। ওয়েবস ব্যান্ড নামে গানের একটা দল করল। শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠানও করল। তত দিনে লেখক হিসেবে আমার কিছুটা নাম হয়েছে। কামালের ব্যান্ডের গান শুনতে গিয়েছিলাম। জার্মানদের মতো হাতকাটা একটা টি-শার্ট আর জিন্স পরে স্টেজ মাতিয়ে দিয়েছিল কামাল। সে দেখতে অত্যন্ত সুপুরুষ। তারুণ্যে ঝকঝক করছিল। কামালের সেদিনকার সেই চেহারা আজও আমার চোখে লেগে আছে।

তারপর দীর্ঘ বিরতি। আম্মার ছোট ছেলে সায়েম কবে জন্মাল তা আমার মনেই নেই। দেশে ফিরে চাকরি করল কামাল। ব্যবসা শুরু করল। চাচাতো বোন নীলুকে বিয়ে করল। সবই শুনতাম কিন্তু ওদের সঙ্গে দেখা হতো না। যোগাযোগ একেবারেই বিচ্ছিন্ন। গেন্ডারিয়া থেকে মগবাজারে চলে এলাম ৯৮ সালে। তার দুই-তিন বছর পর হঠাৎ এক বিকেলে নীলুকে নিয়ে কামাল এসে হাজির আমার ফ্ল্যাটে। আনন্দে ঝলমল করছে দুজনার মুখ। দামি সুন্দর গাড়ি ড্রাইভ করে এসেছে কামাল। জানলাম সে খুব ভালো ব্যবসা করে। মোহাম্মদপুরের পুরোনো বাড়ির সঙ্গে আরও কিছুটা জমি কিনে পাঁচতলা বাড়ি করা হয়েছে। আম্মা সেই বাড়িতে থাকেন। কামাল ফ্ল্যাট কিনে চলে গেছে ধানমন্ডিতে। নীলু একটা কলেজে সাইকোলজি পড়ায়। সবাই খুব ভালো আছে। তারও কয়েক বছর পর আমেরিকার ডালাসে গিয়েছি, ফোবানা সম্মেলন-এ। সেই সম্মেলনে দেখা হলো সায়েমের সঙ্গে। কামালের ছোট ভাই। তার আগে ওকে আমি দেখিইনি। ভার্জিনিয়া থেকে সায়েম এসেছে সম্মেলনে। সঙ্গে চাচাতো ভাই রুবল আর তার স্ত্রী আইভি। রুবলের ভালো নাম মাসুদ। আইভিকে আমি ও আমার শিল্পসাহিত্যের বন্ধুরা বিশেষভাবে চিনতাম। আইভি ছিল বিটিভির এনাউন্সার। বান্ধবীদের নিয়ে ফরিদুর রেজা সাগর ও শাইখ সিরাজের খাবারদাবার-এ আসত মাঝে মাঝে। খাবারদাবার ছিল আমাদের প্রধান আড্ডার জায়গা।

আম্মার কাছে ফিরে যাওয়া হলো বাবুলদার কারণে। কামালের চাচাতো ভাই। অত্যন্ত সুপুরুষ ও মেধাবী। ৭৩ সালে বাংলাদেশ এয়ারফোর্সে ঢুকেছিলেন ফার্স্ট জিডিপি পাইলট হিসেবে। রাশিয়াতে চলে গিয়েছিলেন ট্রেনিংয়ে। ৮০ সালের দিকে রাশিয়া থেকে জার্মানিতে চলে যান। তাঁর ছোট আজাদদা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আমার বড় ভাইয়ের বন্ধু। আমার ভাইয়ের নামও আজাদ। সেই আজাদদা আমাকে বিশেষ স্নেহের চোখে দেখতেন। তিনি চলে গিয়েছিলেন কানাডায়। ২০১৫-১৬ সালের দিকে কামাল হঠাৎ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করল। বাবুলদা জার্মানিতে বসে একটা বই লিখেছেন। বইটির নাম বদলে যান এখনই। সেই বই প্রকাশ করতে হবে। অনন্যা প্রকাশনী থেকে সে বছর বইমেলায় বইটি প্রকাশিত হলো। বাবুলদা দেশে এলেন। তাঁর বইয়ের প্রকাশ উপলক্ষে কামালদের পরিবারের সবাই, বাবুলদাদের পরিবারের সবাই বইমেলায় এলো। বহু বছর পর সবার সঙ্গে আমার দেখা হলো। তত দিনে খালুজান পরলোকগত। সবার সঙ্গেই দেখা হলো, শুধু আম্মার সঙ্গেই দেখা হচ্ছে না। একদিন গেলাম তাঁর সঙ্গে দেখা করতে। কামালরা সবাই সে দিন মোহাম্মদপুরের বাড়িতে। আমি বেল বাজাবার পর গেট খুলে দেওয়া হলো। সোয়েবের সঙ্গে আম্মা থাকেন তিনতলার ফ্ল্যাটে। আমি ধীরে ধীরে সিঁড়ি ভাঙছি। তিনতলার ফ্ল্যাটের সামনে সিঁড়ির মুখে দাঁড়িয়ে আছেন আম্মা। আমাকে দেখে দুটো হাত বাড়িয়ে দিলেন এমন ভঙ্গিতে যেন তাঁর হারিয়ে যাওয়া শিশুটি বহু পথ অতিক্রম করে তাঁর কাছে ফিরে এসেছে। দুহাতে আমাকে জড়িয়ে ধরলেন। আমিও ধরলাম তাঁর গলা। আম্মা তখন ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছেন আর বলছেন, আমাকে তুই এভাবে ভুলে থাকতে পারলি? এতগুলো বছর কেটে গেল, আমার কথা তোর একবারও মনে হলো না? আমি কোনো কথা বলতে পারি না। চোখের জলে গাল ভেসে যাচ্ছে। যেন মায়ের কোলে ফিরে আসা শিশুটি গভীর কোনো আনন্দ কিংবা বেদনায় কাঁদছে। (বাকি অংশ আগামী সংখ্যায়)

লেখক : কথাসাহিত্যিক

এই বিভাগের আরও খবর
ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ
ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ
পোশাক রপ্তানি
পোশাক রপ্তানি
শাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলত
শাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলত
শিষ্টাচারের রাজনীতি এবং বেগম জিয়া
শিষ্টাচারের রাজনীতি এবং বেগম জিয়া
এক এবং একই যথেষ্ট!
এক এবং একই যথেষ্ট!
শরীয়তপুরে যুদ্ধক্ষেত্র
শরীয়তপুরে যুদ্ধক্ষেত্র
শুল্ক নিয়ে তোলপাড়
শুল্ক নিয়ে তোলপাড়
রমজান পরবর্তী আমল
রমজান পরবর্তী আমল
নিরাপদ সড়কের স্বপ্ন সত্যি হবে কবে?
নিরাপদ সড়কের স্বপ্ন সত্যি হবে কবে?
কূটনীতিতে সবকিছুই সমান জটিল ও সহজ
কূটনীতিতে সবকিছুই সমান জটিল ও সহজ
জিয়ার স্মৃতি মুছে ফেলার সহজসরল পদ্ধতি!
জিয়ার স্মৃতি মুছে ফেলার সহজসরল পদ্ধতি!
তরমুজ-শসা খান
তরমুজ-শসা খান
সর্বশেষ খবর
শুল্ক ছাড়ে আলোচনায় আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র, ট্রাম্পের নতুন ঘোষণা
শুল্ক ছাড়ে আলোচনায় আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র, ট্রাম্পের নতুন ঘোষণা

১ মিনিট আগে | জাতীয়

ভাঙচুর-লুটপাটে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা হবে : আইজিপি
ভাঙচুর-লুটপাটে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা হবে : আইজিপি

১৮ মিনিট আগে | জাতীয়

গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রামের রাজপথে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রামের রাজপথে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ

৩৪ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো মৃত কচ্ছপ
কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো মৃত কচ্ছপ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লায় জমির পোষাণী নিয়ে বিরোধ, গুলিবর্ষণে আহত ৪
কুমিল্লায় জমির পোষাণী নিয়ে বিরোধ, গুলিবর্ষণে আহত ৪

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

উত্তরা থেকে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ গ্রেফতার
উত্তরা থেকে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভোটের রোডম্যাপ প্রস্তুত
ভোটের রোডম্যাপ প্রস্তুত

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের বর্বরতার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ
ইসরায়েলের বর্বরতার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাগেরহাটে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ড, নিহত ১
বাগেরহাটে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ড, নিহত ১

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আরসা কমান্ডার আতাউল্লাহ কারাগারে
আরসা কমান্ডার আতাউল্লাহ কারাগারে

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এবার আরাশ-২ ড্রোন নিয়ে হাজির ইরান
এবার আরাশ-২ ড্রোন নিয়ে হাজির ইরান

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০৩০ সালের মধ্যেই মানুষের মতো বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন এআই আসতে পারে
২০৩০ সালের মধ্যেই মানুষের মতো বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন এআই আসতে পারে

৩ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ভাইদের ঝগড়া থামাতে গিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার মৃত্যু
ভাইদের ঝগড়া থামাতে গিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার মৃত্যু

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে বাগেরহাটে বিক্ষোভ সমাবেশ
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে বাগেরহাটে বিক্ষোভ সমাবেশ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে ময়মনসিংহে বিক্ষোভ-সমাবেশ
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে ময়মনসিংহে বিক্ষোভ-সমাবেশ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ মিছিল
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ মিছিল

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতিরোধ গড়ার দাবিতে খুলনায় বিক্ষোভ
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতিরোধ গড়ার দাবিতে খুলনায় বিক্ষোভ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যুক্তরাষ্ট্রের আরও ১০০ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেবে বাংলাদেশ
যুক্তরাষ্ট্রের আরও ১০০ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেবে বাংলাদেশ

৪ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান প্রিন্সের
ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান প্রিন্সের

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে উত্তাল পঞ্চগড়
গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে উত্তাল পঞ্চগড়

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশের নতুন ফিল্ডিং কোচ জেমস প্যামেন্ট
বাংলাদেশের নতুন ফিল্ডিং কোচ জেমস প্যামেন্ট

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইসরায়েলি আগ্রাসন ও ভারতে বিতর্কিত ওয়াক্ফ বিলের বিরুদ্ধে এনসিপির সমাবেশ
ইসরায়েলি আগ্রাসন ও ভারতে বিতর্কিত ওয়াক্ফ বিলের বিরুদ্ধে এনসিপির সমাবেশ

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানি শিল্পী আয়মা বেগ
ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানি শিল্পী আয়মা বেগ

৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

‘ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধে বিশ্ব মুসলিমকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে’
‘ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধে বিশ্ব মুসলিমকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে’

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘সংস্কার কার্যক্রম স্থায়িত্ব পাবে না, যদি না বিচার বিভাগে সংস্কার ঘটে’
‘সংস্কার কার্যক্রম স্থায়িত্ব পাবে না, যদি না বিচার বিভাগে সংস্কার ঘটে’

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাসের ধাক্কায় মায়ের মৃত্যু, আহত ছেলে
বাসের ধাক্কায় মায়ের মৃত্যু, আহত ছেলে

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রফতানি আদেশ স্থগিত নিয়ে প্যানিক হওয়ার কিছু নেই : প্রেস সচিব
রফতানি আদেশ স্থগিত নিয়ে প্যানিক হওয়ার কিছু নেই : প্রেস সচিব

৫ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

ঝালকাঠিতে খালে গোসল করতে নেমে মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু
ঝালকাঠিতে খালে গোসল করতে নেমে মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

'২ মাসের মধ্যে মুন্সিগঞ্জে মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হবে'
'২ মাসের মধ্যে মুন্সিগঞ্জে মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হবে'

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
মধ্যপ্রাচ্যের ৬ দেশকে হুমকি ইরানের, যুদ্ধের শঙ্কা
মধ্যপ্রাচ্যের ৬ দেশকে হুমকি ইরানের, যুদ্ধের শঙ্কা

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গ্রেফতার এড়াতে অতিরিক্ত ৪০০ কিলোমিটার ঘুরতে হলো নেতানিয়াহুকে
গ্রেফতার এড়াতে অতিরিক্ত ৪০০ কিলোমিটার ঘুরতে হলো নেতানিয়াহুকে

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিক্ষোভে উত্তাল ভারত, বিজেপি নেতার বাড়িতে আগুন দিলো জনতা
বিক্ষোভে উত্তাল ভারত, বিজেপি নেতার বাড়িতে আগুন দিলো জনতা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলকে যে হুঁশিয়ারি দিল ইরান
যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলকে যে হুঁশিয়ারি দিল ইরান

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবার বিপদে ইসরায়েল
এবার বিপদে ইসরায়েল

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হামাসের ১৭ রকেট হামলা, লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত
ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হামাসের ১৭ রকেট হামলা, লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সোনালী ব্যাংকের সাবেক সাত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১১ জনের কারাদণ্ড
সোনালী ব্যাংকের সাবেক সাত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১১ জনের কারাদণ্ড

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশজুড়ে ট্রান্সকমের পণ্য বর্জনের ডাক, কেএফসি-বাটার শো-রুম ভাঙচুর
দেশজুড়ে ট্রান্সকমের পণ্য বর্জনের ডাক, কেএফসি-বাটার শো-রুম ভাঙচুর

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাঠিপেটা না করে ছত্রভঙ্গ, রাষ্ট্রপতি পদক পাচ্ছেন সেই পুলিশ কনস্টেবল
লাঠিপেটা না করে ছত্রভঙ্গ, রাষ্ট্রপতি পদক পাচ্ছেন সেই পুলিশ কনস্টেবল

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ৯০০ কোটি টাকার স্টার্টআপ তহবিল ঘোষণা
নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ৯০০ কোটি টাকার স্টার্টআপ তহবিল ঘোষণা

১৩ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

ব্যাংক ও আর্থিক খাত ধ্বংসের হোতা লোটাস কামাল
ব্যাংক ও আর্থিক খাত ধ্বংসের হোতা লোটাস কামাল

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা পেলেন আশিক চৌধুরী
প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা পেলেন আশিক চৌধুরী

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ না খাওয়ার আহ্বান মৎস্য উপদেষ্টার
পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ না খাওয়ার আহ্বান মৎস্য উপদেষ্টার

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শাকিব খানের প্রতি মুগ্ধতা নিয়ে যা বললেন ইধিকা
শাকিব খানের প্রতি মুগ্ধতা নিয়ে যা বললেন ইধিকা

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে স্ত্রীকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে নেতানিয়াহু
ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে স্ত্রীকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে নেতানিয়াহু

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজা হামলায় ট্রাম্প প্রশাসন সরাসরি জড়িত : হামাস
গাজা হামলায় ট্রাম্প প্রশাসন সরাসরি জড়িত : হামাস

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মৃত্যুর দৃশ্যের মধ্য দিয়ে ‘সিআইডি’ ছাড়ছেন এসিপি প্রদ্যুমন!
মৃত্যুর দৃশ্যের মধ্য দিয়ে ‘সিআইডি’ ছাড়ছেন এসিপি প্রদ্যুমন!

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

‘ইসরায়েল হত্যা করে, মিথ্যা বলে; পশ্চিমা মিডিয়া তবুও বিশ্বাস করে’
‘ইসরায়েল হত্যা করে, মিথ্যা বলে; পশ্চিমা মিডিয়া তবুও বিশ্বাস করে’

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একসাথে চুরি হয়ে গেলো সাফারি পার্কের তিনটি লেমুর!
একসাথে চুরি হয়ে গেলো সাফারি পার্কের তিনটি লেমুর!

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৩০ রান তাড়ায় তামিমের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি
১৩০ রান তাড়ায় তামিমের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৭ এপ্রিল)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৭ এপ্রিল)

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উত্তরা থেকে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ গ্রেফতার
উত্তরা থেকে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় হামলার তীব্র নিন্দা ও সামরিক অভিযান বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশের
গাজায় হামলার তীব্র নিন্দা ও সামরিক অভিযান বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশের

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইন্টারনেটের দাম আরও কমাতে কাজ করছে সরকার : আহমদ তৈয়্যব
ইন্টারনেটের দাম আরও কমাতে কাজ করছে সরকার : আহমদ তৈয়্যব

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শুল্কারোপ ইস্যুতে ট্রাম্পকে ড. ইউনূসের চিঠি
শুল্কারোপ ইস্যুতে ট্রাম্পকে ড. ইউনূসের চিঠি

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাগরে লঘু চাপের পূর্বাভাস, হতে পারে বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি
সাগরে লঘু চাপের পূর্বাভাস, হতে পারে বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাগরতলে পৃথিবীর প্রথম স্থায়ী গবেষণাগার নির্মাণ করছে চীন
সাগরতলে পৃথিবীর প্রথম স্থায়ী গবেষণাগার নির্মাণ করছে চীন

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সচিবালয়মুখী চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের মিছিল, পুলিশের বাধা
সচিবালয়মুখী চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের মিছিল, পুলিশের বাধা

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

টক্সিসিটি নিতে পারি না, সেই কারণেই ছেড়ে বেরিয়ে আসি: শ্রাবন্তী
টক্সিসিটি নিতে পারি না, সেই কারণেই ছেড়ে বেরিয়ে আসি: শ্রাবন্তী

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ভর্তি বিএনপি নেতা বুলু
জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ভর্তি বিএনপি নেতা বুলু

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
বাজার নেবে ভারত-পাকিস্তান
বাজার নেবে ভারত-পাকিস্তান

প্রথম পৃষ্ঠা

ফাঁদে ধরা পড়ছে রিকশা
ফাঁদে ধরা পড়ছে রিকশা

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিটিসিএলের ফাইভজি রেডিনেস প্রকল্প খতিয়ে দেখার উদ্যোগ
বিটিসিএলের ফাইভজি রেডিনেস প্রকল্প খতিয়ে দেখার উদ্যোগ

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজশাহীতে আলুর দামে ধস
রাজশাহীতে আলুর দামে ধস

নগর জীবন

দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ
দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ

প্রথম পৃষ্ঠা

এক এবং একই যথেষ্ট!
এক এবং একই যথেষ্ট!

সম্পাদকীয়

চট্টগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘুরে সন্তুষ্ট বিদেশি বিনিয়োগকারীরা
চট্টগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘুরে সন্তুষ্ট বিদেশি বিনিয়োগকারীরা

শিল্প বাণিজ্য

এনসিপির গণসংযোগ অর্ধশতাধিক আসনে
এনসিপির গণসংযোগ অর্ধশতাধিক আসনে

পেছনের পৃষ্ঠা

ট্রাম্পকে চিঠি, তিন মাস সময় চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
ট্রাম্পকে চিঠি, তিন মাস সময় চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

নিশ্চয়তা চায় আবাসন-খাবারের
নিশ্চয়তা চায় আবাসন-খাবারের

নগর জীবন

শিষ্টাচারের রাজনীতি এবং বেগম জিয়া
শিষ্টাচারের রাজনীতি এবং বেগম জিয়া

সম্পাদকীয়

ঝুলছে ভূমি জরিপের ৪ লাখ মামলা
ঝুলছে ভূমি জরিপের ৪ লাখ মামলা

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোটের রোডম্যাপ প্রস্তুত
ভোটের রোডম্যাপ প্রস্তুত

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় আশিক
প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় আশিক

প্রথম পৃষ্ঠা

মিডিয়া কমিশনের মিডিয়া ধ্বংসের চক্রান্ত!
মিডিয়া কমিশনের মিডিয়া ধ্বংসের চক্রান্ত!

প্রথম পৃষ্ঠা

দুই ইউএনওর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা
দুই ইউএনওর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা

প্রথম পৃষ্ঠা

পয়লা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ না খাওয়ার আহ্বান
পয়লা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ না খাওয়ার আহ্বান

প্রথম পৃষ্ঠা

দুই পক্ষের সংঘর্ষে বিএনপি কর্মী নিহত বাড়িঘরে হামলা
দুই পক্ষের সংঘর্ষে বিএনপি কর্মী নিহত বাড়িঘরে হামলা

প্রথম পৃষ্ঠা

লাশ ছাড়াল ৫০ হাজার
লাশ ছাড়াল ৫০ হাজার

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্রেতাদের সমর্থন চাইবেন রপ্তানিকারকরা
ক্রেতাদের সমর্থন চাইবেন রপ্তানিকারকরা

শিল্প বাণিজ্য

কিলিং মিশনের আরেক সদস্য গ্রেপ্তার
কিলিং মিশনের আরেক সদস্য গ্রেপ্তার

নগর জীবন

শাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলত
শাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলত

সম্পাদকীয়

গভীর উৎকণ্ঠায় ব্যবসায়ীরা
গভীর উৎকণ্ঠায় ব্যবসায়ীরা

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশে দেশে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ
দেশে দেশে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ

প্রথম পৃষ্ঠা

গাড়ির ত্রিমুখী সংঘর্ষে তিন জামায়াত কর্মী নিহত
গাড়ির ত্রিমুখী সংঘর্ষে তিন জামায়াত কর্মী নিহত

পেছনের পৃষ্ঠা

বিদেশি ফল মালবেরি চাষে সফলতা
বিদেশি ফল মালবেরি চাষে সফলতা

পেছনের পৃষ্ঠা

আনন্দিত ইধিকা
আনন্দিত ইধিকা

শোবিজ

সড়কে স্কুলছাত্রীসহ নিহত ৬
সড়কে স্কুলছাত্রীসহ নিহত ৬

দেশগ্রাম

গণহত্যা বন্ধের দাবিতে তিউনিসিয়ায় ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ
গণহত্যা বন্ধের দাবিতে তিউনিসিয়ায় ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ

পূর্ব-পশ্চিম