শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানী

কর্নেল আব্দুল্লাহ মোর্শেদ, পিএসসি
প্রিন্ট ভার্সন
বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানী

জেনারেল মুহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানী (এম এ জি ওসমানী) ছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এবং ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধজয়ী একজন সেনানায়ক। জেনারেল এম এ জি ওসমানী শুধু মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়কই ছিলেন না, বরং একাধারে তিনি ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা, দূরদর্শী একজন সামরিক কমান্ডার, বিচক্ষণ ও কৌশলী একজন বুদ্ধিজীবী, মুক্তচিন্তার ধারক একজন প্রশাসক এবং নীতি ও নৈতিকতায় অনুসরণীয় একজন ব্যক্তিত্ব। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অসামান্য অবদান এবং দুঃসাহসিক নেতৃত্বের জন্য তিনি বঙ্গবীর নামে পরিচিত। জেনারেল ওসমানী বাংলাদেশের সামরিক ও রাজনৈতিক ইতিহাসের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র- যাঁর নেতৃত্ব, সাহস এবং সততার দৃষ্টান্ত তাঁকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে।

শৈশব ও কৈশোর : জেনারেল ওসমানী ১৯১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার পাথারিয়া গ্রামে সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক বাড়ি সিলেট জেলার বালাগঞ্জের (বর্তমানে ওসমানীনগর উপজেলা) দয়ামীরে। তাঁর বাবা খান বাহাদুর মফিজুর রহমান ছিলেন তৎকালীন আসামের সুনামগঞ্জ সদর মহকুমায় সাব-ডিভিশনাল অফিসার। মা জোবেদা খাতুন ছিলেন একজন গৃহিণী। তাঁদের দুই ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে সবার ছোট ছেলে ওসমানী। পাথারিয়া গ্রামের ওসমানী পরিবার তাঁদের পরিচিত মহলে শিক্ষানুরাগী ও ধার্মিক পরিবার হিসেবে পরিচিত ছিল। খান বাহাদুর মফিজুর রহমান এবং জোবেদা খাতুন জেনারেল ওসমানীকে ছোটবেলা থেকেই পারিবারিক মূল্যবোধ ও সুশৃঙ্খল জীবনযাপনের বিষয়ে শিক্ষা দিয়েছিলেন। শিক্ষানুরাগী পরিবারের ঐতিহ্যগত সজ্জন পরিবেশ জেনারেল ওসমানীর শৈশব গঠনে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিল। শৈশবকাল থেকে পিতামাতার দীক্ষা ও অনুপ্রেরণা তাঁকে একজন সুশিক্ষিত, দৃঢ়চেতা এবং আদর্শবান মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্র তৈরি করেছিল। পরিবারের এই নৈতিক শিক্ষা ওসমানীকে ভবিষ্যতে একজন মানবিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি যুদ্ধজয়ী এই সামরিক ব্যক্তিত্বের সব অর্জনে নিয়ামকের ভূমিকা পালন করেছিল।

শিক্ষাজীবন : পিতা খান বাহাদুর মফিজুর রহমানের কর্মস্থানে বদলি চাকরির সুবাদে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কেটেছে তাঁর শৈশব-কৈশোর। ১৯২৩ সালে কটনস স্কুল অব আসাম-এ ভর্তি হওয়ার মধ্য দিয়েই ওসমানীর শিক্ষাজীবন শুরু হয়। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন মেধাবী এবং জ্ঞানার্জনে আগ্রহী। শিশু ওসমানী প্রতি ক্লাসেই পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করতেন। তিনি ১৯৩২ সালে সিলেট সরকারি পাইলট হাই স্কুলে ভর্তি হন। তৎকালীন সময়ে সিলেটের এ স্কুলটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত হতো। ১৯৩৪ সালে এ স্কুল থেকেই অসাধারণ কৃতিত্বের সঙ্গে তিনি ম্যাট্রিক পাস করেন। সমগ্র ব্রিটিশ ভারতের এন্ট্রান্স পরীক্ষায় তিনি প্রথম স্থান লাভ করেছিলেন। এ অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য ব্রিটিশ সরকার এম এ জি ওসমানীকে প্রিওটোরিয়া পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে সম্মানিত করে। মাধ্যমিক পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হওয়ার পর তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে ভর্তি হন। যা ছিল তৎকালীন ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখানে ইতিহাস, রাজনীতি এবং সাহিত্যবিষয়ক পাঠ্যক্রমে তিনি সীমাহীন আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। একাডেমিক দক্ষতা এবং উপস্থিত বুদ্ধিমত্তা জেনারেল ওসমানীর সহপাঠীদের মধ্যে তাঁকে অমিত প্রতিভাবান একজন শিক্ষার্থী হিসেবে তুলে ধরে ছিল। ১৯৩৮ সালে তিনি আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।

সামরিক প্রশিক্ষণকালীন জীবনী : জেনারেল এম এ জি ওসমানীর সামরিক একাডেমির জীবন ছিল শৃঙ্খলা, কঠোর পরিশ্রম এবং সামরিক দক্ষতা অর্জনের এক বীরোচিত অধ্যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর পূর্বে, ১৯৩৯ সালের ৩ জুলাই তিনি দেরাদুনে ব্রিটিশ-ভারতীয় মিলিটারি একাডেমিতে (আইএমএ) অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেন। তৎকালীন ব্রিটিশ কলোনিতে এটিই ছিল উপমহাদেশের বৃহত্তম সামরিক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান। এখানেই সেনা অফিসার হয়ে ওঠার দুর্নিবার আগ্রহে ওসমানী তাঁর সামরিক জীবনের পথচলা শুরু করেন। আইএমএতে প্রশিক্ষণকালীন ওসমানী কঠোর শারীরিক প্রশিক্ষণ, সামরিক কৌশলগত চিন্তাধারা এবং শৃঙ্খলা রপ্ত করেন। তাঁর অধ্যবসায় এবং বুদ্ধিমত্তা তাঁকে অন্য প্রশিক্ষণার্থীদের থেকে আলাদা করে তোলে। প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে তিনি যুদ্ধকৌশল, অস্ত্র চালনা এবং নেতৃত্বের কৌশলের মতো বিষয়গুলোতে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেন। শারীরিক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন রণকৌশল অনুশীলন ও অ্যাসাইনমেন্টে বুদ্ধিবৃত্তিক দক্ষতা এবং মানসিক দৃঢ়তা প্রদর্শন করেন। প্রশিক্ষণ চলাকালীন তাঁর সাহসিকতা, তীক্ষè মনোযোগ এবং অধ্যবসায় তাঁকে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে তাঁর সতীর্থদের কাছে একজন আদর্শ সামরিক প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে পরিচিত করায়। প্রশিক্ষণ শেষে ১৯৪০ সালে তিনি কমিশন লাভ করেন এবং ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে একজন লেফটেন্যান্ট হিসেবে যোগ দেন।

প্রশিক্ষণ-পরবর্তী সামরিক জীবন : ১৯৪১ সালে এম এ জি ওসমানী লেফটেন্যান্ট থেকে ক্যাপ্টেন পদবিতে পদোন্নতি পান। এ সময় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে, যা এই উপমহাদেশেও বিস্তৃত হয়েছিল। এই যুদ্ধে তিনি বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানীব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সার্ভিস কোরের একটি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার হিসেবে বার্মা (বর্তমান মিয়ানমার) সেক্টরে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর সাহসিকতা এবং নেতৃত্বের গুণ তাঁকে সেনাবাহিনীতে দ্রুত মেজর পদে পদোন্নতি এনে দেয়। তিনি সেই সময় শুধু পেশাগত দক্ষতায় ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে সবচেয়ে কম বয়সে এ পদোন্নতি লাভ করেন। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ওসমানী ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে পদোন্নতিসংক্রান্ত বিভিন্ন পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন, পদোন্নতিসংক্রান্ত এক মৌখিক পরীক্ষায় তাঁকে তাঁর উচ্চতা নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বুদ্ধিদীপ্ত উত্তরে বলেছিলেন, আমি নেপোলিয়নের চেয়ে উচ্চতায় লম্বা যা তাঁর অটুট আত্মবিশ্বাসকে প্রতিধ্বনিত করেছিল। একই বছর তিনি মেধার ভিত্তিতে ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসের জন্য মনোনীত হলেও সামরিক বাহিনীতেই নিজের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেন। দেশভাগের পর ১৯৪৭ সালের ৭ অক্টোবর ওসমানী পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদমর্যাদায় পদোন্নতিপ্রাপ্ত হন। ১৯৪৯ সালে তিনি পাকিস্তান আর্মির চিফ অব জেনারেল স্টাফের ডেপুটি হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৫১ সালে তিনি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রথম ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক নিযুক্ত হওয়ার ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম সেনানিবাস প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক স্টেশনের দায়িত্বও তিনি সফলতার সঙ্গে পালন করেন। পরবর্তীকালে তিনি ১৪তম পাঞ্জাব রেজিমেন্টের নবম ব্যাটালিয়নের রাইফেলস কোম্পানির পরিচালক, ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের অতিরিক্ত কমান্ড্যান্ট হিসেবেও কৃতিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৬ সালে তিনি কর্নেল পদমর্যাদা লাভ করে সেনাবাহিনী সদর দপ্তরে জেনারেল স্টাফ অ্যান্ড মিলিটারি অপারেশনের উপপরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধে কর্নেল ওসমানী ডেপুটি ডাইরেক্টর অব মিলিটারি অপারেশন হিসেবে যুদ্ধরত বিভিন্ন ফোর্সের সামরিক হেড কোয়ার্টারে যোগাযোগ রক্ষা করতেন। পাক-ভারত যুদ্ধে সফলতার পর, ১৯৬৬ সালের মে মাসে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে অবসরকালীন ছুটি নিয়ে পরের বছর ১৯৬৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি অবসর গ্রহণ করেন।

মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক : জেনারেল এম এ জি ওসমানী পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেওয়ার পর তাঁর মনোযোগ এ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অর্জনের দিকে ঝুঁকে পড়ে। তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকরা পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালি জনগণকে বছরের পর বছর ধরে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অমানবিক শোষণ আর নিপীড়ন করে আসছিল তিনি প্রকাশ্যেই তাঁর ক্ষোভ ও নির্যাতনের প্রতিবাদ করেন এবং মাতৃভূমির জন্য কিছু করার ইচ্ছা পোষণ করে আসছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বাঙালি জনগণের ওপর অপারেশন সার্চলাইট নামে ঢাকা এবং অন্যান্য জায়গায় বর্বর হামলা চালায়। এ নির্বিচার হামলা ও হত্যা এবং দশকের পর দশক ধরে হয়ে আসা নিপীড়নের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ ও বাঙালি সেনাসদস্যরা প্রতিশোধ নিতে ফুঁসে ওঠেন এবং সশস্ত্র আন্দোলন শুরু করেন। এ সশস্ত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ও দেশকে মুক্ত করার জন্য একজন দূরদর্শী এবং কৌশলী সামরিক নেতার প্রয়োজন দেখা দেয়। পরিস্থিতি আর সময়ের বাস্তবতায়, তৎকালীন বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য কর্নেল (পরবর্তী সময়ে জেনারেল) ওসমানীর সামরিক অভিজ্ঞতা, যোগ্যতা, নেতৃত্বগুণ এবং দেশপ্রেমের ওপর ভিত্তি করে মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক হিসেবে নিয়োগ দেয়।

মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকেই তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে তাঁর সামরিক জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে রণ পরিকল্পনা করেন। জেনারেল ওসমানী উপলব্ধি করেছিলেন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধের শুরুতেই মুখোমুখি লড়াইয়ে জয়ী হওয়া সম্ভব নয়। কারণ তাদের ভারী অস্ত্র, প্রশিক্ষিত সৈনিক এবং সামরিক সক্ষমতা ছিল অনেক বেশি। তাই তিনি গেরিলা কৌশলের ওপর জোর দেন। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক প্রাথমিক অবস্থায় বাংলাদেশকে ছয়টি সামরিক অঞ্চলে পরবর্তী সময়ে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করে প্রতিটি সেক্টরে গেরিলা যুদ্ধকৌশল প্রণয়ন করেন। সর্বশেষ তিনি তিনটি ব্রিগেড গঠন করে তাদের স্বতন্ত্র ফোর্স (জেড ফোর্স, কে ফোর্স, এস ফোর্স) হিসেবে নিয়োগ দিয়ে সারা দেশে মুক্তিযুদ্ধকে সর্বাত্মক সশস্ত্র আন্দোলনে রূপ দিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম এ জি ওসমানী সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে দেশকে হানাদার মুক্ত করার লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়ে নিজেকে যুদ্ধজয়ী একজন বীর সেনানী হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছেন। প্রচলিত যুদ্ধ পদ্ধতির বাইরে গিয়ে গেরিলাপদ্ধতিতে যুদ্ধের জন্য সাধারণ জনগণকে একত্র করা, প্রশিক্ষণ দেওয়া, ছোট ছোট উপদলে যুদ্ধ ক্ষেত্রে পাঠানো থেকে শুরু করে গেরিলাযুদ্ধের সামগ্রিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে জেনারেল ওসমানী যুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর কাঠামো তৈরি ও হানাদার পাকিস্তানি সৈনিকদের অবস্থান এবং রণপরিকল্পনা সম্পূর্ণ ভেস্তে দিয়েছিলেন। গেরিলা আক্রমণে এবং মিত্রশক্তির সহযোগিতায় নভেম্বর ১৯৭১ এর শুরুতেই সীমান্তবর্তী এলাকা শত্রুমুক্ত হতে শুরু করলে পাক হানাদার বাহিনীর মনোবল সম্পূর্ণ ভেঙে যায়, এ সময় জেনারেল ওসমানীর নেতৃত্বাধীন মুক্তিবাহিনী দেশব্যাপী আক্রমণ আরও জোরদার করে। প্রতিটি সেক্টরে পাক হানাদার বাহিনী পিছু হটতে শুরু করে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান বাহিনীর আত্মসমর্পণ এবং স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় মূলত জেনারেল ওসমানীর মতো একজন অমিত সাহসী ও দূরদর্শী বীর মুক্তিযোদ্ধার সাধারণ থেকে অসাধারণ সেনানায়ক হয়ে ওঠার বিরোচিত এক ইতিহাস।

ব্যক্তিত্ব এবং শিক্ষণীয় বিষয়সমূহ : জেনারেল এম এ জি ওসমানী তাঁর প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা ও অসীম সাহসিকতার জন্য সামরিক বাহিনীতে অত্যন্ত দূরদর্শী অফিসার হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক হিসেবে তিনি নেতৃত্বের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গৌরবের এক ইতিহাস রচনা করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময়কার এই সামরিক নেতার নেতৃত্বের নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্যসমূহ ইতিহাসে অমর হয়ে আছে : জেনারেল ওসমানী ছিলেন একজন কৌশলী এবং দূরদর্শী সামরিক নেতা। তিনি অধীনস্থ সৈন্যদের তাঁর অনুপ্রেরণাদায়ী কথা আর কাজের মাধ্যমে উদ্দীপ্ত করে ঐক্য ও আত্মবিশ্বাস সঞ্চার করতে পারতেন। অধস্তন অফিসার ও সৈনিকরা জেনারেল ওসমানীকে অসমসাহসী একজন সেনা কর্মকর্তা হিসেবে দেখেছেন, যিনি কার্যকরী সিদ্ধান্ত নিতে মোটেও বিলম্ব করতেন না। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর কৌশল ছিল যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুকে বিভ্রান্ত করার পাশাপাশি আক্রমণাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তোলা। তাঁর নির্দেশনায় মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সফল যুদ্ধ পরিচালনা করে পাক হানাদারদের পর্যুদস্ত করে এ দেশের ইতিহাস নতুন করে লিখতে বাধ্য করে।

কৌশলগত দক্ষতা : ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় জেনারেল ওসমানী কৌশলী সামরিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, গেরিলা যুদ্ধকৌশল প্রণয়ন করে তা কার্যকরীভাবে প্রয়োগ করে তার কৌশলগত দক্ষতার পরিচয় রেখেছেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ভারী অস্ত্রশস্ত্র, প্রশিক্ষিত সৈনিক এবং সামরিক সক্ষমতা সম্বন্ধে সঠিক ধারণা তিনি রাখতেন বলেই গেরিলা কৌশলের ওপর জোর দিয়েছিলেন। তিনি কখনো মুক্তিযোদ্ধাদের সামনে পরিস্থিতি অসহনীয় হতে দেননি, বরং তারা যেন সশস্ত্র সংগ্রামের উদ্দেশ্য থেকে কোনোভাবেই বিচ্যুত না হয়, তা নিশ্চিত করেছিলেন।

দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগ : তিনি তাঁর জীবনের সেরা সময়গুলো দেশের জন্য উৎসর্গ করেছিলেন। পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর মর্যাদাপূর্ণ পদে থেকে অবসর নেওয়ার পরও দেশমাতৃকার টানে দেশকে ভালোবেসে জীবনের মায়াকে তুচ্ছ জ্ঞান করে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ শুধু পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ছিল না; বরং একটি স্বাধীন জাতির জন্য আত্মত্যাগের সংগ্রামও ছিল। জেনারেল ওসমানীর দেশপ্রেম এ দেশের ইতিহাসে সব দেশপ্রেমীর জন্য শিক্ষণীয় হয়ে থাকবে।

পরিকল্পনা ও সমন্বয় ক্ষমতা : তিনি মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক হিসেবে বিভিন্ন বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় সাধন করে সুষ্ঠু পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে মিত্রবাহিনীর সঙ্গে মিলে যুদ্ধ পরিকল্পনা করা তাঁর অন্যতম সাফল্য ছিল। তিনি বিশ্বাস করতেন, এ দেশের স্বাধীনতা অর্জনের কঠিন পথ পাড়ি দিতে হলে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সম্পৃক্ততার কোনো বিকল্প নেই, সেজন্য তিনি প্রতিটি সেক্টরের কমান্ডারদের সঙ্গে এবং মাঠপর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ রাখতেন এবং যুদ্ধের প্রতিটি পর্যায়ে সমন্বয় সাধন করতেন। তাঁর কৌশলগত নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা এবং বুদ্ধিমত্তা মুক্তিযুদ্ধের প্রতিটি স্তরে সফলতার ভিত্তি তৈরি করে।

জেনারেল ওসমানী ছিলেন অসমসাহসী এক যোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধের সব প্রতিকূল অবস্থায় তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সামনে বলিষ্ঠ সেনানায়কের ভূমিকায় আবির্ভূত হয়েছেন এবং নিজের সাহসিকতা ও দৃঢ় সংকল্প দিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। প্রতিকূল সব পরিস্থিতি তিনি সামলেছেন অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় আর গোছানো পরিকল্পনায়। রণাঙ্গনে তাঁর সাহসী ও বুদ্ধিদীপ্ত পরিচালনা, অধস্তন কমান্ডারদের পাশে থেকে যুদ্ধের সংকটময় সময়ে তাদের মনোবল অটুট রাখতে তিনি সিদ্ধহস্ত ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের তিনি সাহস জুগিয়েছেন, তাদের ত্যাগ আর তিতিক্ষাকে মূল্যায়ন করেছেন ইতিবাচক চিন্তাচেতনা আর বিশ্বাসে।

১৯৮৩ সালে বঙ্গবীর জেনারেল ওসমানীর কিছু শারীরিক জটিলতা দেখা দিলে পরীক্ষানিরীক্ষায় ক্যান্সার ধরা পড়ে। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন নিয়ে সেন্ট বার্থলোমিজ হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা দেওয়া হয়। চিকিৎসার শুরুর দিকে তাঁর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও ধীরে ধীরে তিনি শারীরিকভাবে ভেঙে পড়েন। বাংলাদেশের এই বীর সেনাপতির সেখান থেকে আর ফিরে আসা সম্ভব হয়নি। ১৯৮৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ৬৬ বছর বয়সে জেনারেল এম এ জি ওসমানী লন্ডনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। জেনারেল এম এ জি ওসমানীর জীবন ও কর্ম নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশিদের কাছে একজন সাহসী দেশপ্রেমিক বীরের উপাখ্যান। দেশের প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসা, নেতৃত্বের সঠিক প্রয়োগ, সংকল্পের দৃঢ়তা, জীবন ও কর্ম জাতির বৃহত্তর পরিষেবায় নিবেদন করে এ দেশের ইতিহাসকে বদলে দেওয়া চরিত্রটি এ দেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এম এ জি ওসমানীর। এ দেশের মানুষ ভালোবেসে তাঁকে বঙ্গবীর উপাধি দিয়েছেন।

লেখক : অধিনায়ক, আর্মি মিলিটারি পুলিশ ইউনিট, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট

এই বিভাগের আরও খবর
ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ
ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ
পোশাক রপ্তানি
পোশাক রপ্তানি
শাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলত
শাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলত
শিষ্টাচারের রাজনীতি এবং বেগম জিয়া
শিষ্টাচারের রাজনীতি এবং বেগম জিয়া
এক এবং একই যথেষ্ট!
এক এবং একই যথেষ্ট!
শরীয়তপুরে যুদ্ধক্ষেত্র
শরীয়তপুরে যুদ্ধক্ষেত্র
শুল্ক নিয়ে তোলপাড়
শুল্ক নিয়ে তোলপাড়
রমজান পরবর্তী আমল
রমজান পরবর্তী আমল
নিরাপদ সড়কের স্বপ্ন সত্যি হবে কবে?
নিরাপদ সড়কের স্বপ্ন সত্যি হবে কবে?
কূটনীতিতে সবকিছুই সমান জটিল ও সহজ
কূটনীতিতে সবকিছুই সমান জটিল ও সহজ
জিয়ার স্মৃতি মুছে ফেলার সহজসরল পদ্ধতি!
জিয়ার স্মৃতি মুছে ফেলার সহজসরল পদ্ধতি!
তরমুজ-শসা খান
তরমুজ-শসা খান
সর্বশেষ খবর
কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো মৃত কচ্ছপ
কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো মৃত কচ্ছপ

৩১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লায় জমির পোষাণী নিয়ে বিরোধ, গুলিবর্ষণে আহত ৪
কুমিল্লায় জমির পোষাণী নিয়ে বিরোধ, গুলিবর্ষণে আহত ৪

৪৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

উত্তরা থেকে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ গ্রেফতার
উত্তরা থেকে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভোটের রোডম্যাপ প্রস্তুত
ভোটের রোডম্যাপ প্রস্তুত

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের বর্বরতার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ
ইসরায়েলের বর্বরতার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাগেরহাটে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ড, নিহত ১
বাগেরহাটে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ড, নিহত ১

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আরসা কমান্ডার আতাউল্লাহ কারাগারে
আরসা কমান্ডার আতাউল্লাহ কারাগারে

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এবার আরাশ-২ ড্রোন নিয়ে হাজির ইরান
এবার আরাশ-২ ড্রোন নিয়ে হাজির ইরান

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০৩০ সালের মধ্যেই মানুষের মতো বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন এআই আসতে পারে
২০৩০ সালের মধ্যেই মানুষের মতো বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন এআই আসতে পারে

২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ভাইদের ঝগড়া থামাতে গিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার মৃত্যু
ভাইদের ঝগড়া থামাতে গিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে বাগেরহাটে বিক্ষোভ সমাবেশ
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে বাগেরহাটে বিক্ষোভ সমাবেশ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে ময়মনসিংহে বিক্ষোভ-সমাবেশ
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে ময়মনসিংহে বিক্ষোভ-সমাবেশ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ মিছিল
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ মিছিল

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতিরোধ গড়ার দাবিতে খুলনায় বিক্ষোভ
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতিরোধ গড়ার দাবিতে খুলনায় বিক্ষোভ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যুক্তরাষ্ট্রের আরও ১০০ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেবে বাংলাদেশ
যুক্তরাষ্ট্রের আরও ১০০ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেবে বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান প্রিন্সের
ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান প্রিন্সের

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে উত্তাল পঞ্চগড়
গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে উত্তাল পঞ্চগড়

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশের নতুন ফিল্ডিং কোচ জেমস প্যামেন্ট
বাংলাদেশের নতুন ফিল্ডিং কোচ জেমস প্যামেন্ট

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইসরায়েলি আগ্রাসন ও ভারতে বিতর্কিত ওয়াক্ফ বিলের বিরুদ্ধে এনসিপির সমাবেশ
ইসরায়েলি আগ্রাসন ও ভারতে বিতর্কিত ওয়াক্ফ বিলের বিরুদ্ধে এনসিপির সমাবেশ

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানি শিল্পী আয়মা বেগ
ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানি শিল্পী আয়মা বেগ

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

‘ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধে বিশ্ব মুসলিমকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে’
‘ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধে বিশ্ব মুসলিমকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে’

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘সংস্কার কার্যক্রম স্থায়িত্ব পাবে না, যদি না বিচার বিভাগে সংস্কার ঘটে’
‘সংস্কার কার্যক্রম স্থায়িত্ব পাবে না, যদি না বিচার বিভাগে সংস্কার ঘটে’

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাসের ধাক্কায় মায়ের মৃত্যু, আহত ছেলে
বাসের ধাক্কায় মায়ের মৃত্যু, আহত ছেলে

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রফতানি আদেশ স্থগিত নিয়ে প্যানিক হওয়ার কিছু নেই : প্রেস সচিব
রফতানি আদেশ স্থগিত নিয়ে প্যানিক হওয়ার কিছু নেই : প্রেস সচিব

৪ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

ঝালকাঠিতে খালে গোসল করতে নেমে মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু
ঝালকাঠিতে খালে গোসল করতে নেমে মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

'২ মাসের মধ্যে মুন্সিগঞ্জে মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হবে'
'২ মাসের মধ্যে মুন্সিগঞ্জে মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হবে'

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় গ্রেফতার ৬
বগুড়ায় সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় গ্রেফতার ৬

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই শিক্ষিকা বরখাস্ত
ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই শিক্ষিকা বরখাস্ত

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বরিশালে বাসচাপায় শিশু নিহত
বরিশালে বাসচাপায় শিশু নিহত

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
মধ্যপ্রাচ্যের ৬ দেশকে হুমকি ইরানের, যুদ্ধের শঙ্কা
মধ্যপ্রাচ্যের ৬ দেশকে হুমকি ইরানের, যুদ্ধের শঙ্কা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিক্ষোভে উত্তাল ভারত, বিজেপি নেতার বাড়িতে আগুন দিলো জনতা
বিক্ষোভে উত্তাল ভারত, বিজেপি নেতার বাড়িতে আগুন দিলো জনতা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গ্রেফতার এড়াতে অতিরিক্ত ৪০০ কিলোমিটার ঘুরতে হলো নেতানিয়াহুকে
গ্রেফতার এড়াতে অতিরিক্ত ৪০০ কিলোমিটার ঘুরতে হলো নেতানিয়াহুকে

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলকে যে হুঁশিয়ারি দিল ইরান
যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলকে যে হুঁশিয়ারি দিল ইরান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবার বিপদে ইসরায়েল
এবার বিপদে ইসরায়েল

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হামাসের ১৭ রকেট হামলা, লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত
ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হামাসের ১৭ রকেট হামলা, লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজা থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা
গাজা থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পরশুরাম সীমান্তে তানজানিয়ান নাগরিক আটক
পরশুরাম সীমান্তে তানজানিয়ান নাগরিক আটক

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সোনালী ব্যাংকের সাবেক সাত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১১ জনের কারাদণ্ড
সোনালী ব্যাংকের সাবেক সাত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১১ জনের কারাদণ্ড

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশজুড়ে ট্রান্সকমের পণ্য বর্জনের ডাক, কেএফসি-বাটার শো-রুম ভাঙচুর
দেশজুড়ে ট্রান্সকমের পণ্য বর্জনের ডাক, কেএফসি-বাটার শো-রুম ভাঙচুর

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাঠিপেটা না করে ছত্রভঙ্গ, রাষ্ট্রপতি পদক পাচ্ছেন সেই পুলিশ কনস্টেবল
লাঠিপেটা না করে ছত্রভঙ্গ, রাষ্ট্রপতি পদক পাচ্ছেন সেই পুলিশ কনস্টেবল

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ৯০০ কোটি টাকার স্টার্টআপ তহবিল ঘোষণা
নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ৯০০ কোটি টাকার স্টার্টআপ তহবিল ঘোষণা

১২ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

ব্যাংক ও আর্থিক খাত ধ্বংসের হোতা লোটাস কামাল
ব্যাংক ও আর্থিক খাত ধ্বংসের হোতা লোটাস কামাল

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হঠাৎ অসুস্থ হয়ে কুমিল্লায় সিসিইউতে ভর্তি বরকত উল্লাহ বুলু
হঠাৎ অসুস্থ হয়ে কুমিল্লায় সিসিইউতে ভর্তি বরকত উল্লাহ বুলু

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা পেলেন আশিক চৌধুরী
প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা পেলেন আশিক চৌধুরী

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ না খাওয়ার আহ্বান মৎস্য উপদেষ্টার
পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ না খাওয়ার আহ্বান মৎস্য উপদেষ্টার

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শাকিব খানের প্রতি মুগ্ধতা নিয়ে যা বললেন ইধিকা
শাকিব খানের প্রতি মুগ্ধতা নিয়ে যা বললেন ইধিকা

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে স্ত্রীকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে নেতানিয়াহু
ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে স্ত্রীকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে নেতানিয়াহু

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজা হামলায় ট্রাম্প প্রশাসন সরাসরি জড়িত : হামাস
গাজা হামলায় ট্রাম্প প্রশাসন সরাসরি জড়িত : হামাস

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মৃত্যুর দৃশ্যের মধ্য দিয়ে ‘সিআইডি’ ছাড়ছেন এসিপি প্রদ্যুমন!
মৃত্যুর দৃশ্যের মধ্য দিয়ে ‘সিআইডি’ ছাড়ছেন এসিপি প্রদ্যুমন!

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

‘ইসরায়েল হত্যা করে, মিথ্যা বলে; পশ্চিমা মিডিয়া তবুও বিশ্বাস করে’
‘ইসরায়েল হত্যা করে, মিথ্যা বলে; পশ্চিমা মিডিয়া তবুও বিশ্বাস করে’

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একসাথে চুরি হয়ে গেলো সাফারি পার্কের তিনটি লেমুর!
একসাথে চুরি হয়ে গেলো সাফারি পার্কের তিনটি লেমুর!

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৩০ রান তাড়ায় তামিমের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি
১৩০ রান তাড়ায় তামিমের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৭ এপ্রিল)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৭ এপ্রিল)

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় হামলার তীব্র নিন্দা ও সামরিক অভিযান বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশের
গাজায় হামলার তীব্র নিন্দা ও সামরিক অভিযান বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশের

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইন্টারনেটের দাম আরও কমাতে কাজ করছে সরকার : আহমদ তৈয়্যব
ইন্টারনেটের দাম আরও কমাতে কাজ করছে সরকার : আহমদ তৈয়্যব

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শুল্কারোপ ইস্যুতে ট্রাম্পকে ড. ইউনূসের চিঠি
শুল্কারোপ ইস্যুতে ট্রাম্পকে ড. ইউনূসের চিঠি

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাগরে লঘু চাপের পূর্বাভাস, হতে পারে বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি
সাগরে লঘু চাপের পূর্বাভাস, হতে পারে বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাগরতলে পৃথিবীর প্রথম স্থায়ী গবেষণাগার নির্মাণ করছে চীন
সাগরতলে পৃথিবীর প্রথম স্থায়ী গবেষণাগার নির্মাণ করছে চীন

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সচিবালয়মুখী চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের মিছিল, পুলিশের বাধা
সচিবালয়মুখী চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের মিছিল, পুলিশের বাধা

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রিন্ট সর্বাধিক
বাজার নেবে ভারত-পাকিস্তান
বাজার নেবে ভারত-পাকিস্তান

প্রথম পৃষ্ঠা

ফাঁদে ধরা পড়ছে রিকশা
ফাঁদে ধরা পড়ছে রিকশা

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিটিসিএলের ফাইভজি রেডিনেস প্রকল্প খতিয়ে দেখার উদ্যোগ
বিটিসিএলের ফাইভজি রেডিনেস প্রকল্প খতিয়ে দেখার উদ্যোগ

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজশাহীতে আলুর দামে ধস
রাজশাহীতে আলুর দামে ধস

নগর জীবন

ফিলিস্তিনিদের পাশে আমরা
ফিলিস্তিনিদের পাশে আমরা

প্রথম পৃষ্ঠা

চট্টগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘুরে সন্তুষ্ট বিদেশি বিনিয়োগকারীরা
চট্টগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘুরে সন্তুষ্ট বিদেশি বিনিয়োগকারীরা

শিল্প বাণিজ্য

এক এবং একই যথেষ্ট!
এক এবং একই যথেষ্ট!

সম্পাদকীয়

এনসিপির গণসংযোগ অর্ধশতাধিক আসনে
এনসিপির গণসংযোগ অর্ধশতাধিক আসনে

পেছনের পৃষ্ঠা

ট্রাম্পকে চিঠি, তিন মাস সময় চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
ট্রাম্পকে চিঠি, তিন মাস সময় চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

নিশ্চয়তা চায় আবাসন-খাবারের
নিশ্চয়তা চায় আবাসন-খাবারের

নগর জীবন

শিষ্টাচারের রাজনীতি এবং বেগম জিয়া
শিষ্টাচারের রাজনীতি এবং বেগম জিয়া

সম্পাদকীয়

ভোটের রোডম্যাপ প্রস্তুত
ভোটের রোডম্যাপ প্রস্তুত

প্রথম পৃষ্ঠা

ঝুলছে ভূমি জরিপের ৪ লাখ মামলা
ঝুলছে ভূমি জরিপের ৪ লাখ মামলা

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় আশিক
প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় আশিক

প্রথম পৃষ্ঠা

মিডিয়া কমিশনের মিডিয়া ধ্বংসের চক্রান্ত!
মিডিয়া কমিশনের মিডিয়া ধ্বংসের চক্রান্ত!

প্রথম পৃষ্ঠা

লাশ ছাড়াল ৫০ হাজার
লাশ ছাড়াল ৫০ হাজার

প্রথম পৃষ্ঠা

দুই পক্ষের সংঘর্ষে বিএনপি কর্মী নিহত বাড়িঘরে হামলা
দুই পক্ষের সংঘর্ষে বিএনপি কর্মী নিহত বাড়িঘরে হামলা

প্রথম পৃষ্ঠা

শাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলত
শাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলত

সম্পাদকীয়

দুই ইউএনওর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা
দুই ইউএনওর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা

প্রথম পৃষ্ঠা

কিলিং মিশনের আরেক সদস্য গ্রেপ্তার
কিলিং মিশনের আরেক সদস্য গ্রেপ্তার

নগর জীবন

ক্রেতাদের সমর্থন চাইবেন রপ্তানিকারকরা
ক্রেতাদের সমর্থন চাইবেন রপ্তানিকারকরা

শিল্প বাণিজ্য

পয়লা বৈশাখে পান্তা ইলিশ না খাওয়ার আহ্বান
পয়লা বৈশাখে পান্তা ইলিশ না খাওয়ার আহ্বান

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশে দেশে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ
দেশে দেশে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ

প্রথম পৃষ্ঠা

গাড়ির ত্রিমুখী সংঘর্ষে তিন জামায়াত কর্মী নিহত
গাড়ির ত্রিমুখী সংঘর্ষে তিন জামায়াত কর্মী নিহত

পেছনের পৃষ্ঠা

গভীর উৎকণ্ঠায় ব্যবসায়ীরা
গভীর উৎকণ্ঠায় ব্যবসায়ীরা

প্রথম পৃষ্ঠা

গণহত্যা বন্ধের দাবিতে তিউনিসিয়ায় ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ
গণহত্যা বন্ধের দাবিতে তিউনিসিয়ায় ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ

পূর্ব-পশ্চিম

বিদেশি ফল মালবেরি চাষে সফলতা
বিদেশি ফল মালবেরি চাষে সফলতা

পেছনের পৃষ্ঠা

আনন্দিত ইধিকা
আনন্দিত ইধিকা

শোবিজ

সড়কে স্কুলছাত্রীসহ নিহত ৬
সড়কে স্কুলছাত্রীসহ নিহত ৬

দেশগ্রাম