পাবনার চলনবিল অধ্যুষিত চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠে ইরি-বোরো জমির আগাছা পরিষ্কারে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সবুজ ধান গাছে মাঠ ছেয়ে গেছে। পুরুষের পাশাপাশি নারী শ্রমিকরাও আগাছা অপসারণে মাঠে নেমেছেন।
সরেজমিন ভাঙ্গুড়া উপজেলার বড়পুকুরিয়া মাঠে দেখা হয় ওই এলাকার কৃষক শরীফুল ইসলামসহ কয়েকজন শ্রমিক জমির আগাছা পরিষ্কার করছেন। শরীফ বলেন, চলতি বছর প্রায় চার বিঘা জমিতে ইরি-বোরো আবাদ করেছি। ধানগাছও ভালো হয়েছে। জমিতে অনেক আগাছা জন্মেছে। সেগুলো তুলে ফেলছি। একই সঙ্গে ধানগাছের গোড়ার মাটি আলগা করে দিচ্ছি। এতে গাছগুলো দ্রুত বাড়বে।
একই ইউনিয়নের দুধবাড়িয়া গ্রামের আহেদ আলী বলেন, প্রতি বছর আমি পাঁচ-ছয় বিঘা জমিতে ইরি-বোরো চাষ করি। এ বছরও করেছি। ধানের গাছগুলো খুব ভালো হয়েছে। গাছের গোড়ায় বিভিন্ন ধরনের আগাছা জন্মেছে। কয়েক দিন ধরে শ্রমিক নিয়ে আগাছা অপসারণ করছি।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন জাহান জানান, চলতি মৌসুমে ভাঙ্গুড়ায় ৭ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষ হয়েছে। আগাছা পরিষ্কার ও ধান গাছের গোড়ার মাটি আলগা করে দিলে গাছ মাটি থেকে অক্সিজেন আরও সহজেই পায়। এতে গাছগুলো দ্রুত বাড়ে।
পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, জেলার এবার ৫৯ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।