নির্বাচনি প্রচারে সব প্রার্থী যাতে সমান সুযোগ পান তা নতুন আচরণবিধিতে নিশ্চিত করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। তিনি বলেছেন, নির্বাচনি ব্যয় যথাসম্ভব ন্যূনতম রেখে এবং সুশৃঙ্খলভাবে প্রচারণা করার সুযোগ রাখা হচ্ছে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড-সব প্রার্থী সমানভাবে প্রচার-প্রচারণা করতে পারবেন- সে ধরনের এটিচিউড নিয়ে আমরা আচরণবিধি করতে চাচ্ছি। গতকাল নির্বাচন ভবনে এ সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক শেষে ব্রিফ করছিলেন আনোয়ারুল সরকার। সীমানা পুনর্নির্ধারণ, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন প্রস্তুতি বিষয়ক কমিটির সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। ইসি আনোয়ারুল বলেন, খসড়াটি প্রায় চূড়ান্ত। এখন নির্বাচন কমিশনে উপস্থাপনের প্রক্রিয়া নেওয়া হবে। ইসি অনুমোদন দিলে ফাইনালি পাবলিশড হবে। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের অধিকাংশ সুপারিশ প্রস্তাবিত আচরণবিধিতে যুক্ত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনাগুলো আছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন ও গণমাধ্যমে আসা অন্যান্য বিষয়গুলো ইনকরপোরেট করার উদ্যোগ নিয়েছি। একটা চমৎকার আচরণ বিধিমালা হবে- এটা প্রত্যাশা। ইসি আনোয়ারুল বলেন, সোশাল মিডিয়াতেও ভোটের প্রচার যাতে ‘নিয়ন্ত্রণের মধ্যে’ থাকে, সেই বিধানও খসড়ায় রাখা হয়েছে। আচরণবিধি লঙ্ঘনে সর্বোচ্চ কঠোরতা নিশ্চিতে শাস্তির বিধান খসড়ায় থাকছে।
সীমানা আইন সংশোধনীর অপেক্ষায় ইসি : রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার আগেই এ বিধিমালা চূড়ান্ত হতে যাচ্ছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা পরবর্তী সময়ে সব স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে বসব তখনকার অবস্থাই বলবে- কী করতে হবে। ডিসেম্বরে ধরে ভোটের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে ইসি আনোয়ারুল বলেন, সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত সংশোধন প্রস্তাব সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। এখনো অনুমোদন পাওয়া যায়নি। সরকারের তরফ থেকে আইন সংশোধন হয়ে এলে- সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তা না হলে আগের সীমানায় ভোটের প্রস্তুতি নেবে কমিশন।