সাংবাদিকদের পেশাজীবী সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) কর্মচারীদের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার আবদুর রহমান নামের এক আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। একই মামলায় উজ্জ্বল মিয়া নামে আরেক আসামির জামিন মঞ্জুর করেছেন একই আদালত। গতকাল বিকালে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে শাহবাগ থানা পুলিশ দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে। আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত একজনকে জামিন, আরেকজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। শাহবাগ থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপপরিদর্শক মো. জিন্নাত আলী এ তথ্য জানান। ডিআরইউর সভাপতি আবু সালেহ আকন জানান, ডিআরইউ কার্যালয়ে শুধু সাংবাদিকদের জন্য টিসিবির পণ্য ক্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে আগে থেকেই টোকেন দেওয়া হয়। এসব টোকেনের একটি কারও মাধ্যমে করতোয়া কুরিয়ার সার্ভিসের এক কর্মীর কাছে চলে যায়। তারা এটাকে নকল করে ৫০টি টোকেন তৈরি করে টিসিবির পণ্য নিতে আসেন। এ সময় আমাদের স্টাফ বাবুল বিষয়টি হাতেনাতে ধরে ফেলেন। পরে তাদের এখানে আর পণ্য নিতে না আসার জন্য বলা হয়। সেই ক্ষোভ থেকে শুক্রবার পল্টনে করতোয়া কুরিয়ার অফিসের সামনে ডিআরইউ স্টাফ বাবুলকে মারধর করে তারা। পরে দুর্বৃত্তরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, লাঠিসোঁটা, রড, দা, চাপাতি, হকিস্টিক ইত্যাদি নিয়ে ডিআরইউর সামনে আমাদের কর্মচারী মো. জহিরুল ইসলাম (২৯) ও মো. রবিউল ইসলামের (২৭) ওপর হামলা চালায়। চাপাতির কোপে জহিরুলের মাথা ফেটে যায়। এরপর তারা যাওয়ার সময় কর্মচারীদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এ ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়েছে।