জাপান জানিয়েছে, তারা সেমিকন্ডাক্টর ভেঞ্চার র্যাপিডাসে ৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অতিরিক্ত বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা ২০২৭ সাল থেকে দেশে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য ব্যাপকভাবে চিপ উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ করছে।
সোমবার দেশটির সরকার এ কথা জানিয়েছে।
দেশটির শিল্প মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা সনি, টয়োটা, আইবিএম এবং অন্যান্যদের যৌথ উদ্যোগে গঠিত এই কোম্পানিটিকে ৫.৪ বিলিয়ন ডলার প্রদান করবে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এর ফলে র্যাপিডাস যা এপ্রিল মাসে হোক্কাইদোতে তার কারখানায় পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করতে চলেছে। এর মোট সরকারি সহায়তা ১.৭ ট্রিলিয়ন ইয়েনে পৌঁছেছে।
মানুষের দৈনন্দিন জীবনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান ভূমিকার কারণে উন্নত, শক্তি-সাশ্রয়ী সেমিকন্ডাক্টরের বিশ্বব্যাপী চাহিদা বেড়ে যাওয়ার ধারণা করা হচ্ছে।
১৯৮০ থেকে ৯০ এর দশকের গোড়ার দিকে জাপান বিশ্বব্যাপী মাইক্রোচিপের বাজারের অর্ধেক দখল করেছিল। যেখানে এনইসি এবং তোশিবার মতো কোম্পানিগুলো নেতৃত্ব দিয়েছিল। কিন্তু এখন এটি বাজারের প্রায় ১০ শতাংশ দখল করে আছে। যদিও এটি চিপ তৈরির সরঞ্জাম এবং উপকরণের ক্ষেত্রে এখনও শীর্ষস্থানীয়।
র্যাপিডাসের চেয়ারম্যান তেতসুরো হিগাশি গত বছর এএফপি’কে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, এই প্রকল্পটি দেশের সেমিকন্ডাক্টর খাতকে বিশ্ব মানচিত্রে ফিরিয়ে আনার ‘শেষ সুযোগ’।
তিনি বলেন, জাপান অন্যদের থেকে এক দশকেরও বেশি পিছিয়ে আছে। এর সাথে তাল মিলিয়ে চলতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হবে।
মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে গাড়ি পর্যন্ত সবকিছুতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে এমন সেমিকন্ডাক্টর সাম্প্রতিক বছরগুলেতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য যুদ্ধক্ষেত্র হয়ে উঠেছে।
ইতোমধ্যে তাইওয়ানের চিপ বেহেমথ টিএসএমসি তার উৎপাদন বৈচিত্র্য আনার চাপের সম্মুখীন হচ্ছে। কারণ গ্রাহকরা এবং সরকারগুলি চীনের দ্বীপটিতে আক্রমণের সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
টিএসএমসি গত বছর দক্ষিণ জাপানে ৮.৬ বিলিয়ন ডলারের একটি নতুন কারখানা চালু করেছে এবং আরও উন্নত চিপসের জন্য দ্বিতীয়, ২০ বিলিয়ন ডলারের একটি কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা করছে।
সূত্র : নিক্কেই এশিয়া
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত