দখলে-দূষণে বিপন্ন বিশ্বনাথ উপজেলার বাসিয়া নদীর বর্জ্য অপসারণের নামে দুই তীর ভরাটের অভিযোগ উঠেছে। নদীগর্ভেই রয়ে গেছে ময়লা। তীর ভরাট করে রাখা হয়েছে মাটি। এ অবস্থায় কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এতে উল্টো দখলদারদেরই সুবিধা হয়েছে অভিযোগ সচেতন মহলের। এ নিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় বইছে।
বিশ্বনাথ পৌর প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলাউদ্দিন কাদের বলেন, ‘এ পর্যন্ত আনুমানিক ৬০ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। ব্যয় হয়েছে ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা। গাড়ি প্রবেশের ব্যবস্থা না থাকায় তীরে রাখা মাটি অপসারণ সম্ভব হচ্ছে না। পরে কাজ শুরু করা গেলে বাকিটা সম্পন্ন করা হবে।’ জানা যায়, বাসিয়া রক্ষায় ২২ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করে বিশ্বনাথ উপজেলা ও পৌর প্রশাসন। পৌরসভার রাজস্ব থেকে বাজেট ধরা হয় ৬ লাখ টাকার বেশি। প্রকল্প এরিয়া নির্ধারণ করা হয় বিশ্বনাথ বাজার অংশের ৬৫০ মিটার। কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয় সিলেট সিটি করপোরেশনকে। টিঅ্যান্ডটি মোড়ে কাজ শুরু করে বড় ব্রিজ পর্যন্ত (৪০০ মিটার) আসা হয়। উভয় তীরে গাড়ি যাতায়াতের জন্য তৈরি করা হয় অস্থায়ী পথ। পরে এ পথ কেটে নদীর মাটি দিয়েই ভরাট করা হয় তীর। তীর থেকে মাটি অপসারণের কথা থাকলেও তা করেননি কর্তৃপক্ষ। পুরো বর্জ্য সিলেট নেওয়ার কথা থাকলেও নিয়েছেন মাত্র কয়েক ট্রাক।