জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিকভাবে সবচেয়ে নির্যাতিত দলটি মুক্তি পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ‘জুলাই ২০২৪ বিল্পবের শহীদ স্মারক’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ডা.শফিকুর রহমান বলেন, একটা দায়িত্বশীল দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর কিছু করণীয় আছে বলে আমরা মনে করি। ২৪-এর আন্দোলনে আমরাও শহীদ ছিলাম। আন্দোলনের মাধ্যমে পুরো জাতি যেমন মুক্তি পেয়েছে, সবচেয়ে নির্যাতিত রাজনৈতিক দলটিও একইভাবে মুক্তি পেয়েছে। সুতরাং এই প্রজন্মের প্রতি কৃতজ্ঞতা আদায় করা প্রয়োজন। আমরা শহীদ পরিবারগুলোর কাছে গিয়েছি, তাদের প্রতি সম্মান দিতে ও তাদের থেকে দোয়া নিতে। কারণ তারা সৌভাগ্যবান, তাদের পরিবার দেশের জন্য জীবন দিয়েছে। তিনি বলেন, কিছু ইতিহাস মানুষের জন্য হয় আনন্দের, কিছু হয় বিষাদের, আর কিছু হয় গৌরবের। বিশেষত যারা দেশের জন্য জীবন দেন, অতীতেও দিয়েছেন, ’৪৭ সালে, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন ও একাত্তর এবং সর্বশেষ ২৪-এর জুলাইয়ে। তাদের ইতিহাসটা গৌরবের। তিনি আরও বলেন, যে গণমাধ্যমগুলো এখানে এসেছে, তারাও ফ্যাসিবাদের থাবা থেকে মুক্ত ছিল না। সে সময় তাদেরকেও জীবন দিতে হয়েছে, রিমান্ডের নামে নির্যাতন ভোগ করতে হয়েছে। বিদেশে বসে যারা বাক এবং কলমযুদ্ধ চালিয়েছিলেন, দেশের মাটিতে তাদের পরিবারকে হেনস্তা করা হয়েছে, জেলে পুরে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, অতীতে যারা ফ্যাসিস্ট শাসক ছিল, তাদের নাম ধর্মগ্রন্থেও উঠে এসেছে। একই পরিণতি সবাইকে ভোগ করতে হয়। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, ফ্যাসিস্টরা ইতিহাস পড়ে কিন্তু তার থেকে শিক্ষা নেয় না। আমাদের দেশের ইতিহাস বিকৃতির ইতিহাস। দেশের ইতিহাস অনেকে যার যার মতো রচনা করেছেন। আমির বলেন, আবু সাঈদের শাহাদাত ছিল জুলাই আন্দোলনের একটি টার্নিং পয়েন্ট। একটা নিরীহ পরিবারের ছেলে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। সে জেনেশুনেই শহীদ হওয়ার জন্য বুক পেতে দিয়েছিল। তার পথ ধরে বাকি শহীদরা বলেছে আবু সাঈদ আমার ভাই, আমরাও শাহাদাতের সিঁড়িতে পা রাখতে চাই। শহীদ ভাইয়েরা তার পরিবারকে বলেছে, আমরা যদি শহীদ হয়ে যাই, তোমরা তাতে কেঁদো না। এতেই বোঝা যায় দেশের মানুষ কতটা নির্যাতিত ছিল। সবশেষে তিনি বলেন, আমরা একটি বৈষম্যহীন, মানবিক ও সুন্দর বাংলাদেশ পেয়েছি। তাই রাজনৈতিক দল ও এর অংশীজনদের বলতে চাই, বিপ্লবের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ কোনো কাজ আপনারা করবেন না। যদি করেন, তাহলে শহীদদের আত্মা কষ্ট পাবে, তাদের রক্তকে অপমান করা হবে। আর যারা জীবিত শহীদ রয়েছেন, তারা ভীষণ কষ্ট পাবেন ও অভিশাপ দেবেন।
শিরোনাম
- বাংলাদেশের নতুন ফিল্ডিং কোচ জেমস প্যামেন্ট
- ইসরায়েলি আগ্রাসন ও ভারতে বিতর্কিত ওয়াক্ফ বিলের বিরুদ্ধে এনসিপির সমাবেশ
- ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানি শিল্পী আয়মা বেগ
- ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই শিক্ষিকা বরখাস্ত
- দক্ষিণ আফ্রিকার কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ ক্লাসেন
- টস হেরে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে বেঙ্গালুরু
- রাতে সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন তামিম ইকবাল
- ১২ এপ্রিল 'মার্চ ফর গাজায়' অংশ নেওয়ার আহ্বান মাহমুদউল্লাহর
- ফেসবুকে এনআইডি সেবার নামে প্রতারণা, সতর্ক করল ইসি
- কেইপিজেড ও অর্থনৈতিক অঞ্চলের বিনিয়োগ পরিবেশের ধারণা নিলেন ৭০ বিদেশি বিনিয়োগকারী
- স্বাধীনতা কনসার্টের তারিখ পরিবর্তন
- 'গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে বিশ্ব বিবেককে একসঙ্গে দাঁড়াতে হবে'
- ঢাকায় মার্কিন নাগরিকদের চলাচলে সতর্কতা জারি
- ইংল্যান্ডের নতুন অধিনায়ক হ্যারি ব্রুক
- অতিরিক্ত ভাড়া আদায় : জয়পুরহাটে ৩ পরিবহনকে জরিমানা
- নারায়ণগঞ্জে পানিতে ডুবে প্রাণ গেল শিশুর
- বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কর্মী নিহত, সাবেক এমপিসহ ৮ নেতা বহিষ্কার
- গাজায় হামলার তীব্র নিন্দা ও সামরিক অভিযান বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশের
- ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বর্বর হামলার প্রতিবাদে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিক্ষোভ
- শুল্কারোপ ইস্যুতে ট্রাম্পকে ড. ইউনূসের চিঠি