এ যেন একটি দেশের দূতাবাসের পায়ে হাঁটা রোগে পরিণত হয়েছে। গতকয়েক বছরে স্থানান্তরিত হয়েছে আরও দুইবার। আগামী ৭ এপ্রিল থেক আবারও নতুন স্থানে তৃতীয় বারের মত স্থানান্তরিত হয়ে কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস।
স্থান পরিবর্তন, সঠিক সময়ে ভবনের ভাড়া দিতে না পারায় ভবন মালিকের তালা ঝুলানো, সেবা প্রত্যাশীদের কাছ থেকে দূতাবাসের শৌচাগার ব্যবহারে টাকা নেওয়াসহ নানান ইস্যুতে গতকয়েক বছরে বারে বারে আলোচনায় এসেছে দূতাবাসটি। তবে সেই সময়গুলোতে কেউ কিছু বলার সাহস না পেলেও গত ২৮ মার্চ দূতাবাসের ফেসবুক পেজ এ দূতাবাস স্থানান্তর বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি দেখে বাংলাদেশ কমিউনিটি ও প্রবাসীদের মাঝে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অনেকেই এতে তিক্ত, বিরক্ত।
প্রবাসীরা ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, বারে বারে দূতাবাস স্থান্তান্তরের ফলে দূর-দূরান্ত থেকে আসা প্রবাসীদের নানান রকম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। নতুন স্থান খুঁজে বের করতে তাদের সময় ও অর্থের অপচয়সহ অনেক সময় বিপদের সম্মুখীনও হতে হয় তাদের (কাগজ-পত্র জটিলতা)। অনেকেই বলছেন, সৌদি আরবের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার এই মালয়েশিয়া। যেখানে প্রায় ১৮ লাখ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার প্রবাসীদের বসবাস, সেখানে বারে বারে দূতাবাসের স্থান পরিবর্তন হওয়া খুবই দূঃখজনক। প্রবাসীরা প্রশ্ন রেখেছেন, দূতাবাসের এতো ইনকাম স্বত্ত্বেও কেন ভাড়া ভবন থেকে দূতাবাসের কার্যক্রম পরিচালানা করতে হবে!
অনতিবিলম্বে জায়গা খরিদ করে স্থায়ী জায়াগায় দূতাবাসের ভবন নির্মাণ করারও দাবি জানান কেউ কেউ। প্রবাসী অধ্যুষিত দূরের রাজ্যগুলোতে দূতাবাসের কনস্যুলার সেবা চালুর দাবিও জানান প্রবাসীরা। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সুদৃষ্টি কামনা করছেন প্রবাসীরা।
প্রবাসীরা বলেন, প্রবাসবান্ধব বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আশা করি দ্রুত এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিবেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত