বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম বলেছেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সততা ও নিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশের মানুষের কাছে জনপ্রিয় ছিলেন। সেনাবাহিনীর মধ্যেও তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ছিল। তাঁর মতো সৎ, নির্ভীক, দেশপ্রেমিক নেতা দেশের ইতিহাসে সৃষ্টি হয়নি। ছয় বছর রাষ্ট্র পরিচালনার পর দেখা গেল, তাঁর একখণ্ড জমিও নেই। ব্যাংকে কোনো টাকা নেই। তাঁর স্ত্রী, পুত্র ও পরিবারকে তিনি যেভাবে লালন করিয়েছেন, সে রকম উদাহরণ খোলাফায়ে রাশেদিনের পর মুসলিম বিশ্বে আর দেখা যায়নি। তাঁর সবচেয়ে বড় গুণ ছিল তিনি (জিয়াউর রহমান) ছিলেন একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক।’ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৯০তম জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় তাঁর জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে স্মৃতিচারণা করেন মেজর (অব.) হাফিজ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ নামে জাতিকে একটি রাজনৈতিক দর্শন উপহার দিয়েছেন জিয়া। তিনিই একমাত্র রাষ্ট্রপতি ছিলেন যাঁর কাছে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়ার সাধারণ মানুষ যেতে পারত। যিনি তাঁদের সঙ্গে কথা বলতেন।’ সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমান পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে আমার প্রশিক্ষক ছিলেন। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে তিনি আমার সিনিয়র কর্মকর্তা ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ছিলেন আমার ব্রিগেড কমান্ডার। যুদ্ধের একপর্যায়ে সিলেটের কানাইঘাট জয় করার পর আমরা মাও সে তুংয়ের মতো কানাইঘাট টু সিলেট লংমার্চ করি। মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত লগ্নে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে প্রথম ইস্ট বেঙ্গল যে সিলেট অভিমুখে লংমার্চ করেছে সেটি আমাদের ইতিহাসের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। এ সময় সিলেট শহর দখল করার জন্য যুদ্ধ ক্ষেত্র এড়িয়ে আমরা খাবারদাবার, অস্ত্র পিঠে নিয়ে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ১ হাজার ২০০ সৈনিকের কাফেলা চা বাগান ও হাওরের মধ্য দিয়ে সিলেটের দিকে অগ্রসর হচ্ছিলাম। ওই লংমার্চের সময় আমরা সারা রাত হাঁটতাম আর দিনে জঙ্গলে লুকিয়ে থাকতাম।’ তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের একটি স্কেচ ম্যাপ ছিল ৮ ফিট বাই ৮ ফিট। সেটার ওপর একটি পলিথিন কাভার ছিল। এ ম্যাপটি বিছিয়ে জিয়াউর রহমান, ক্যাপ্টেন অলি আহমদ ও আমি ঘুমাতাম। চোখ খুলে যখন আমার পাশে নিদ্রারত আমার ব্রিগেড কমান্ডার জিয়াউর রহমানকে দেখতাম তখন কখনো কল্পনাও করিনি আমার পাশের এই ব্যক্তি মাত্র চার বছরের মধ্যে দেশের রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত হবেন।’ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের এই সহকর্মী বলেন, ‘আমি দেড় বছর তাঁর একান্ত সচিব ছিলাম। তাঁর সর্বোচ্চ স্বপ্ন ছিল তিনি সেনাবাহিনীর প্রধান হবেন। তাঁর কখনো রাজনৈতিক অভিলাষ ছিল না।’ তিনি বলেন, ‘ভারত যখন পদ্মার পানি একতরফাভাবে প্রত্যাহার করেছে তখন তিনি কোনো দেনদরবার না করে সরাসরি জাতিসংঘে গিয়ে প্রতিবাদ করেছেন; যার ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় মিটিংয়ে বসতে ভারত বাধ্য হয়েছে। ১৯৭৭ সালে গঙ্গা নদীর পানি বণ্টনের যে চুক্তিটি হয়েছে, সেটি হলো আজ পর্যন্ত সম্পাদিত চুক্তিগুলোর মধ্যে সর্বোত্তম।’ মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ আরও বলেন, ‘জিয়াউর রহমান কোনো দিন কাউকে ছোট করে কথা বলেননি। তিনি শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু বলে সম্বোধন করে কথা বলতেন। তাঁর (শেখ মুজিব) প্রশংসা করে তিনি লিখেছেন এবং তাঁর পক্ষ থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। তার পরও তাঁর রেহাই নেই। কেন তিনি সেই ঘোষণা দিলেন! যে ঘোষণাটি রাজনৈতিক গোষ্ঠী দিতে পারেনি, সেটি দিয়ে তিনি আওয়ামী স্বৈরশাসক গোষ্ঠীর বিরাগভাজন হয়েছেন।’
শিরোনাম
- শক্ত দল নিয়ে বাংলাদেশে আসছে জিম্বাবুয়ে
- ১৫ এপ্রিল থেকে ৫৮ দিন সাগরে মাছ ধরা নিষিদ্ধ
- নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা ইংল্যান্ডের
- কেন মান্নাত ছেড়ে সপরিবারে ভাড়া বাসায় উঠলেন শাহরুখ?
- বাংলাদেশের নতুন ফিল্ডিং কোচ জেমস প্যামেন্ট
- ইসরায়েলি আগ্রাসন ও ভারতে বিতর্কিত ওয়াক্ফ বিলের বিরুদ্ধে এনসিপির সমাবেশ
- ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানি শিল্পী আয়মা বেগ
- ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই শিক্ষিকা বরখাস্ত
- দক্ষিণ আফ্রিকার কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ ক্লাসেন
- টস হেরে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে বেঙ্গালুরু
- রাতে সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন তামিম ইকবাল
- ১২ এপ্রিল 'মার্চ ফর গাজায়' অংশ নেওয়ার আহ্বান মাহমুদউল্লাহর
- ফেসবুকে এনআইডি সেবার নামে প্রতারণা, সতর্ক করল ইসি
- কেইপিজেড ও অর্থনৈতিক অঞ্চলের বিনিয়োগ পরিবেশের ধারণা নিলেন ৭০ বিদেশি বিনিয়োগকারী
- স্বাধীনতা কনসার্টের তারিখ পরিবর্তন
- 'গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে বিশ্ব বিবেককে একসঙ্গে দাঁড়াতে হবে'
- ঢাকায় মার্কিন নাগরিকদের চলাচলে সতর্কতা জারি
- ইংল্যান্ডের নতুন অধিনায়ক হ্যারি ব্রুক
- অতিরিক্ত ভাড়া আদায় : জয়পুরহাটে ৩ পরিবহনকে জরিমানা
- নারায়ণগঞ্জে পানিতে ডুবে প্রাণ গেল শিশুর
স্মৃতিচারণা - মেজর (অব.) হাফিজ
জিয়াউর রহমান ছিলেন খাঁটি দেশপ্রেমিক
শফিউল আলম দোলন
প্রিন্ট ভার্সন

টপিক
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর