ম্যাচটা জয় দিয়ে রাঙাতে পারেনি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, তবে রেকর্ডবুকে নিজের নাম ঠিকই তুলেছে দলটি। ওয়াংখেড়ের ঘরের মাঠে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে হারের বেদনা থাকলেও, এই ম্যাচেই মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স গড়েছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার ইতিহাস।
বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল মুম্বাইয়ের ২৮৮তম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ—যা এখন বিশ্বের যেকোনো দলের চেয়ে বেশি। এই তালিকায় তারা টপকে গেছে ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্লাব সমারসেটকে, যারা এখন পর্যন্ত খেলেছে ২৮৭ ম্যাচ।
তবে মাঠের লড়াইয়ে হাসতে পারেনি হার্দিক পান্ডিয়ার দল। টস জিতে বোলিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত ফলপ্রসূ হয়নি মুম্বাইয়ের জন্য। নির্ধারিত ২০ ওভারে বেঙ্গালুরু তোলে বিশাল ২২১ রান। জবাবে মুম্বাই থেমে যায় ২০৯ রানে—হার ১২ রানের ব্যবধানে। প্রায় এক দশক পর ওয়াংখেড়েতে বেঙ্গালুরুর কাছে হারল তারা।
এই হারের ফলে আইপিএল পয়েন্ট তালিকায় ৮ম স্থানেই রয়ে গেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার সংখ্যায় শীর্ষ পাঁচে আছে আরও কয়েকটি দল। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইংল্যান্ডের হ্যাম্পশায়ার (২৮০ ম্যাচ), চতুর্থ স্থানে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (২৭৫ ম্যাচ), আর পঞ্চম স্থানে যৌথভাবে আছে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও সারে (২৭২ ম্যাচ করে)।
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের অন্যতম সফল দল চেন্নাই সুপার কিংস এই তালিকার শীর্ষ ছয়ে নেই—আইপিএলে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞার প্রভাব স্পষ্ট এখানে। বিপিএলের কোনো দলই নেই প্রথম দশে, মালিকানা ও নাম বদলের ধারাবাহিকতার কারণেই হয়ত এমনটা হয়েছে।
জাতীয় দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার রেকর্ড পাকিস্তানের। ২০০৯ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা খেলেছে ২৫৮ ম্যাচ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভারত খেলেছে ২৪৭টি ম্যাচ, এরপর আর কোনো দল পৌঁছায়নি ২৫০ ম্যাচের মাইলফলকে।
ম্যাচের ফলাফল যা-ই হোক, ইতিহাসের পাতায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এখন সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা দলের আসনে—যেটা নিশ্চয়ই দলটির জন্য গর্বের বিষয়।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম