ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউজে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও গাজা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার আগ্রহের কথা জানান। তিনি গাজা উপত্যকাকে ‘অবিশ্বাস্য রকমের গুরুত্বপূর্ণ একটি সম্পদ’ বলে উল্লেখ করেন। ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো শান্তিরক্ষী শক্তি যদি গাজা নিয়ন্ত্রণ করে, তাহলে তা ভালোই হবে। এটি এমন এক জায়গা যেখানে কেউ বসবাস করতে চায় না। অথচ দারুণ এক অবস্থানে রয়েছে।
তিনি গাজার অধিবাসীদের অন্য দেশে সরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে বলেন, অনেক দেশই এই ২১ লাখ ফিলিস্তিনিকে গ্রহণ করতে আগ্রহী।
সিএনএন বলছে, এই ধরনের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে, এবং অনেক আঞ্চলিক মিত্রই এই ধারণার বিরোধিতা করছে। জাতিসংঘের তথ্যমতে, ইসরায়েলের চলমান হামলায় গাজার ৯০ শতাংশ মানুষ ইতোমধ্যে ঘরছাড়া হয়েছে। অনেকে বারবার স্থান পরিবর্তন করতে বাধ্য হচ্ছেন।
বৈঠকে ট্রাম্প আরও বলেন, যদি ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে ‘ফ্রিডম জোন’ তৈরি করা যায়, তাহলে সেখানে প্রতিদিন কেউ মরবে না। এটা শান্তির জায়গা হয়ে উঠবে। তিনি ইসরায়েলের পূর্বের সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন তোলেন, ‘তারা সাগরতীরবর্তী এত মূল্যবান জায়গা শান্তির আশায় ছেড়ে দিয়েছিল, কিন্তু তার ফল কী হলো? ট্রাম্প আরও বলেন, গাজাকে পর্যটন এলাকা ‘রিভিয়েরা’ হিসেবে গড়ে তোলা যেতে পারে এবং সেটি যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানায় থাকলে উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব।
উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধে ইসরায়েল গাজা দখল করে এবং প্রায় ৪০ বছর ধরে সেখানে দখলদারিত্ব বজায় রাখে। বর্তমানে অঞ্চলটি আবারও চরম মানবিক সংকটের মুখে রয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল