গাইবান্ধায় বহিরাগত সন্ত্রাসী অছাত্রের দ্বারা শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। রবিবার দুপুরে গাইবান্ধা সরকারি কলেজ চত্বরে শিক্ষক ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
গাইবান্ধা সরকারি কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর খলিলুর রহমান, উপাধ্যক্ষ আবদুর রশিদ, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ, শিক্ষক এবিএম জিল্লুর রহমান, মিজানুর রহমান মিজান, কাইয়ুম আজাদ, শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম আকাশ, নাসির উল্লাহ, রিফাত সরকার, এরফান আহমেদ, আবরার শাকিল ও আশিকুর রহমান আশিক প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, গাইবান্ধা পৌর এলাকার থানাপাড়ার সাজন সরকার মাদকাসক্ত, বখাটে, সন্ত্রাসী ও হত্যা মামলার আসামি। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে তিনি প্রায়ই সরকারি কলেজে ছিনতাই করতেন। বিশেষ করে ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীদের কাছে সাজন এক আতঙ্কের নাম। সাজনের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ ও মুখ খোলার সাহস পেতেন না। সম্প্রতি কলেজ চত্বরে একজন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করেন ও হত্যার হুমকি দেন সাজন। যা অত্যন্ত অপমানজনক।
বক্তারা আরও বলেন, সাজন এটাও বলে বেড়ান যে, ‘আমি পুলিশকে ভয় পাই না, জেল আমার কাছে কিছুই না।’ ২০১৩ সালে গাইবান্ধা স্টেডিয়াম সংলগ্ন রেললাইনে ছিনতাইকে কেন্দ্র করে ফুলছড়ির এক কলেজ শিক্ষার্থীকে হত্যা করেন এই সাজন। তাই কলেজ চত্বরে নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানান শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
সেই সাথে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, ছাত্র হোস্টেল চালু, মাদকসেবন বন্ধ করা, কলেজ ফটকে নিরাপত্তা কর্মীর ব্যবস্থা, শিক্ষককে লাঞ্ছনার ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষের মামলা দায়ের, কলেজ ক্যান্টিনে বিড়ি-সিগারেটসহ অন্যান্য নেশাজাতীয় দ্রব্যের বিক্রি বন্ধ করা এবং বহিরাগতদের রাত ৯টার পরে কলেজে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার সাত দফা বাস্তবায়নের দাবিতে আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল কলেজ চত্বর প্রদক্ষিণ করে। শেষে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
সংহতি জানিয়ে কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটি গাইবান্ধা সদর উপজেলা প্রতিনিধি কমিটির সদস্য রাশেদুল ইসলাম জুয়েল, রওশন আলম পাপুল, গাইবান্ধা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব বায়েজীদ বোস্তামী জ্বীম ও সংগঠক অতনু সাহাসহ এলাকাবাসী।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল