কয়েক বছর ধরে গ্যাস সরবরাহ না থাকায় বছরের অর্ধেক সময় ইউরিয়া উৎপাদন বন্ধ থাকছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সার কারখানায়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি চালু রাখতে পারলে সার আমদানি-নির্ভরতা কমিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করা যাবে। কারখানা সূত্র জানায়, ১৯৮০ সালে আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারতলার মেঘনা নদীর পাশে নির্মিত হয় আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার অ্যান্ড কেমিক্যাল কারখানা। যা আশুগঞ্জ সার কারখানা নামে পরিচিত। ১৯৮১ সালের ১৫ ডিসেম্বর পরীক্ষামূলক ইউরিয়া সার উৎপাদন শুরু হয়। ১৯৮৩ সালের জুলাই মাস থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়। এখানে উৎপাদন হয় প্রিলড ইউরিয়া সার। গুণগত মানসম্পন্ন হওয়ায় কৃষকদের কাছে এ সারের চাহিদাও বেশি। আশুগঞ্জ সার কারখানার তালিকাভুক্ত সার ডিলার রয়েছে প্রায় সাড়ে ৭০০। এসব ডিলারের মাধ্যমে ইউরিয়া সার সরবরাহ করা হয় আওতাভুক্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, চাঁদপুর, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলায়। মূলত ইউরিয়া সার উৎপাদনে প্রধান কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয় প্রাকৃতিক গ্যাস, পানি ও বাতাস। পানির জোগান দেওয়া হয় কারখানা সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে। প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। কারখানাটির দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ১৬ শ টন। যন্ত্রপাতি পুরনো হওয়ার সঙ্গে উৎপাদন ক্ষমতাও হ্রাস পেতে থাকে। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ১১ শ টন ইউরিয়া সার উৎপাদনে সক্ষম এটি। তবে, এবং গ্যাস সংকট ও ঘন ঘন যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বছরের অর্ধেক সময়ই উৎপাদন বন্ধ থাকছে এ কারখানা। সর্বশেষ গত বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকে এটি। পরবর্তীতে শ্রমিকদের আন্দোলনের পর ১৫ নভেম্বর গ্যাস সরবরাহ করা হলে দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে ২৩ জানুয়ারি ইউরিয়া সার উৎপাদন শুরু হয়। এ অবস্থায় সার উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে কারখানাটি। সার কারখানা কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, কারখানাটি সচল রাখতে প্রতিদিন ৪০-৪২ বার চাপে ৪৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রয়োজন। অভিযোগ রয়েছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমলে একটি চক্রের নির্দেশে সার আমদানির জন্য এ কারখানাসহ দেশীয় সার কারখানাগুলোতে বছরের দীর্ঘ সময় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হতো। আশুগঞ্জ সার কারখানা এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু কাউসার বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একটি স্বার্থান্বেষী মহল সরকারকে বুঝিয়ে বিদেশ থেকে সার আমদানির ব্যবসা শুরু করে। ১২-১৩ বছর ধরেই আশুগঞ্জ সার কারখানা বছরে ৩-৬ মাস গ্যাস পায়। বাখারাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির উপমহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. জাহিদুর রেজা বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে বিসিআইসিকে গ্যাস বরাদ্দ দেওয়ার পর বিসিআইসি নির্ধারণ করে কখন কোন কারখানাকে কতটুকু গ্যাস দেবে। সে হিসেবে আশুগঞ্জ সার কারখানা বন্ধ রাখা হয়। আশুগঞ্জ সার কারখানার অ্যামোনিয়া প্লান্টের ইনচার্জ মো. ফারুক হোসেন বলেন, আশুগঞ্জ সার কারখানাটি ৪০ বছরেরও বেশি পুরানো। গ্যাসের পাশাপাশি যন্ত্রপাতিরও কিছু সমস্যা আছে। বিসিআইসির সহযোগিতায় সমস্যাগুলো সমাধান করা হচ্ছে। কারখানাটি উৎপাদনের ধারায় ফিরে এসেছে।
শিরোনাম
- সচিবালয়মুখী চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের মিছিল, পুলিশের বাধা
- রাজবাড়ীতে হারানো ফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিককে হস্তান্তর
- স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক বৃদ্ধ গ্রেফতার
- বৃষ্টির আভাস রাজশাহী-চট্টগ্রামে, তাপমাত্রা থাকবে অপরিবর্তিত
- ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে উত্তাল রাবি
- গাজায় নৃশংসতার প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল ফরিদপুর
- গুলশানে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল বিউটিশিয়ান মিমের
- সোনালী ব্যাংকের সাবেক সাত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১১ জনের কারাদণ্ড
- গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে ফেনীতে বিক্ষোভ
- ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গায় বিক্ষোভ
- ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হামাসের ১৭ রকেট হামলা, লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত
- সাবেক এমপি কাজী কেরামত কারাগারে
- গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে লক্ষ্মীপুরে হরতাল-বিক্ষোভ
- ‘ইসরায়েল হত্যা করে, মিথ্যা বলে; পশ্চিমা মিডিয়া তবুও বিশ্বাস করে’
- মেহেরপুরে সড়কের পাশে পড়েছিল অজ্ঞাত নারীর মরদেহ
- বরগুনায় বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা
- রূপগঞ্জে পিস্তলসহ কিশোর গ্রেফতার
- নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ৯০০ কোটি টাকার স্টার্টআপ তহবিল ঘোষণা
- গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ
- পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ বিদেশি ফল মালবেরি চাষে দিনাজপুরে যুবকের সফলতা