দারুণ ছন্দে বাঁহাতি ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। ২২ বছর বয়সি টাইগার ওপেনার বসুন্ধরা প্রিমিয়ার ক্রিকেটে খেলছেন আবাহনীর পক্ষে। বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের পক্ষে খেলছেন এবং মাঠ মাতাচ্ছেন দুর্দান্ত সব ইনিংস খেলে। ঘরোয়া লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে গতকাল দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন পারভেজ। ১৫ বলে হাফসেঞ্চুরি করেছেন বাঁহাতি ওপেনার। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেট তো বটেই, স্বীকৃত ক্রিকেটেও এটি বাংলাদেশের দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির রেকর্ড। এতদিন ঘরোয়া লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির মালিক ছিলেন যুগ্মভাবে ফরহাদ রেজা ও হাবিবুর রহমান। ২০১৯ সালের প্রিমিয়ার লিগে প্রাইম দোলেশ্বরের পক্ষে ১৮ বলে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন ফরহাদ। ২০২৩ সালে বিসিএলের লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ১৯ বলে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন হাবিবুর। অবশ্য ওই ম্যাচে হাবিবুর ৬১ বলে ১১৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। যেখানে সেঞ্চুরির ইনিংসটি ছিল মাত্র ৪৯ বলে। যা দেশের লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড। পারভেজ ইমনের রেকর্ড গড়ার ইনিংসের ম্যাচে বিকেএসপি-৩ নম্বর মাঠে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে আবাহনী। লিগে নবম রাউন্ডে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের অষ্টম জয়। একই দিন জয় পেয়েছে মোহামেডান ও গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। মোহামেডান ৫ উইকেটে প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে জিতে সাত জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে উঠেছে। জয়টি তামিল ইকবালকে উপহার দিয়েছে মোহামেডান। গুলশান ২ উইকেটে ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাবকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের চারে উঠেছে।
ঈদের ১১ দিনের বিরতির পর গতকাল মাঠে গড়িয়েছে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট। মিরপুর স্টেডিয়ামে প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে মোহামেডানকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাওহিদ হৃদয়। নেতৃত্বের অভিষেক ম্যাচেই দলকে জয় উপহার দিয়েছেন। মিরপুরে দুই হেভিওয়েটের লড়াইয়ে প্রাইম ব্যাংক ৩২.২ ওভারে ১৭৪ রানে গুটিয়ে যায় এবাদত হোসেনের গতি ও তাইজুল ইসলামের বাঁহাতি ঘূর্ণিতে। এবাদত ৩ উইকেট নেন ২৭ রানের খরচে। তাইজুল ছিলেন বিধ্বংসী ও মিতব্যয়ী। তার স্পেল ৩.২-০-৫-৪। এর মধ্যে শামীম পাটোয়ারী ৬১ বলে ৮৯ রান করেন। ১৭৫ রান টার্গেট। অধিনায়ক হৃদয়ের ৫৭ ও ম্যাচসেরা মেহেদি মিরাজের ৬৭ রানে ভর করে ১২০ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয় তুলে নেয়। বিকেএসপি-৩ নম্বর মাঠে মোসাদ্দেক সৈকতের ঘূর্ণিতে ২৫.৪ ওভারে ৮৮ রানে গুটিয়ে যায় শাইনপুকুর। ম্যাচসেরা সৈকত ৪ উইকেট নেন ৩৬ রানের খরচে। আবাহনীর দুই ওপেনার পারভেজ ইমন ও জিশান আলম ৬.৪ ওভারে ৮৯ রান তুলে নেয়। পারভেজ ৬১ রানে অপরাজিত ইনিংস খেলেন মাত্র ২৩ বলে ৪ চার ও ৬ ছক্কায়।
বিকেএসপি-৪ নম্বর মাঠে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৫৮ রান করে ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৫ রান করেন বাঁহাতি ব্যাটার ফজলে মাহমুদ। গুলশান ক্লাবের পক্ষে মেহেদি হাসান ও আসাদুজ্জামান পায়েল ৩টি করে উইকেট নেন। ২৫৯ রানের টার্গেটে বর্ষীয়ান ক্রিকেটার নাঈম ইসলামের ৬৮ রানে ভর করে জয় তুলে নেয় গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। ধানমন্ডির পয়েন্ট ৯ ম্যাচে ৬ এবং গুলশানে সমান সংখ্যক ম্যাচে ১১।