জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন, বর্তমানে বাংলাদেশে যে সংবিধানের মধ্য দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে, এই সংবিধান বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই সংবিধানের এক তৃতীয়াংশ আছে তা কেউ সংশোধন করতে পারবে না। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে নতুন সংবিধানের বাস্তবতা রয়েছে।
শুক্রবার বিকালে রংপুর জিলা পরিষদ কমিউনিটি সেন্টার মিলনায়তনে ফ্যাসিবাদী বিরোধী রাজনীতিবীদ, ছাত্র-জনতা, শ্রমিক, পেশাজীবি, অ্যাক্টিভিস্ট, ওলামায়ে কেরাম ও বিশিষ্ট নাগরিকদের নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে নতুন সংবিধান করতে হবে। এ কারণে আমরা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছি সামনের নির্বাচন গণপরিষদ নির্বাচন হতে হবে। সংসদ নির্বাচন ও গণপরিষদ নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর যৌক্তিক কারণ নেই। গণপরিষদ নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই সংবিধান প্রণয়ন ও সংসদ সদস্যের কাজ এক সাথে যৌথভাবে সম্পন্ন করতে পারবে।
আখতার হোসেন বলেন, গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে দেশের শাসন কাঠামো, বিচার কাঠামো,পুলিশ প্রশাসন প্রত্যেক জায়গায় আমূল সংস্কার দরকার। সরকারের তরফ থেকে সংস্কার প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়েছে। সেই প্রক্রিয়ায় আমরা সংহতি ব্যক্ত করেছি। দেশের গণহত্যার বিচার সবচেয়ে কাঙ্খিত বিষয়। গণহত্যার বিচার না হলে স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদী শক্তি ভবিষ্যতে দেশের রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে দেশে আরেকবার গণহত্যা, রাহাজানীর সুযোগ পেয়ে যাবে। দেশকে নিরাপদ করতে হলে চব্বিশের আন্দোলনে গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের ব্যক্তি ও দল হিসেবে বিচার করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নাগরিক পার্টি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তোর বার্তা নিয়ে প্রত্যেকের ঘরে ঘরে যাচ্ছে। দেশের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শিল্পকে স্বনির্ভর করতে হবে। প্রত্যেক সেক্টরকে স্বনির্ভর করে গড়ে তোলা হলে দেশের মানুষের মুক্তির অর্জন সম্ভব। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর জনগণের কাছেজবাবদিহি থাকবে, জনগণের সেবায় তারা সচেষ্ট থাকবে এমন দেশ বির্নিমান করা হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, এনসিপি’র যুগ্ম মূখ্য সংগঠক সাদিয়া ফারজানা দিনা, আসাদুল্লাহ গালিব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/তাফসীর