বলিউড অভিনেতা সাইফের উপর হামলার খবর মধ্যরাতে পান বড় মেয়ে সারা আলি খান। সেই মুহূর্তে ঠিক কী করা উচিত বুঝে ওঠার আগেই একের পর এক ফোন। আসতে থাকে নানা আপডেট। এমন রাত আগে কখনও আসেনি তার জীবনে।
সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে বাবার উপর হামলার দিনের ঘটনা বর্ণনা করেন সারা। হামলার পরের দিন সকালেই হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন তিনি। কয়েকটা দিন যে কতটা অনিশ্চয়তার মধ্যে কেটেছে সারার, সে কথাও জানান।
সাক্ষাৎকারে সারা বলেন, ‘আমি ভেঙে পড়েছিলাম। সত্যি বলতে আর কিছু মনে পড়ছে না। এতটাই ভয় পেয়েছিলাম যে পাথরের মতো হয়ে গিয়েছিলাম। বাবাকে যখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন ওই ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময়টা গোটা জীবনের মতো মনে হয়েছিল। তারপর ধীরে ধীরে হাসপাতাল থেকে আপডেট পেয়ে স্বস্তি পাই।’
বাবাকে যে দিন হাসপাতাল থেকে হাসি মুখে বেরিয়ে আসতে দেখেন, সেই দিন খানিক স্বস্তি পেয়েছিলেন সারা। সারা আরও বলেন, ‘তিনি ঠিক এমনই। এটাই তার স্বভাব এবং চার সন্তানের বাবা হিসেবে তাকে দেখাতেই হতো যে তিনি একদম ঠিক আছেন। বাবা সবসময়ই একজন ফাইটার। কখনও হাল ছাড়েন না। তাই বাবা হিসেবে তিনি দেখানোর চেষ্টা করেন সব ঠিক আছে। আমিও এটা বাবার থেকেই শিখেছি।’
চাপের মধ্যেও সাইফ জানেন কীভাবে নিজেকে শান্ত রাখতে হয়। তাই সারার কথায়, ‘আতঙ্কের পরিস্থিতিতে বাবা অন্যদের তুলনায় অনেক ভালো। আমি তো প্রথমেই আতঙ্কিত হয়ে যাই। কাঁদতে থাকি।’
প্রসঙ্গত, গত ১৬ জানুয়ারি মধ্যরাতে সাইফ আলি খানের মুম্বইয়ের বাড়িতে ঢুকে পড়ে এক দুষ্কৃতী। একের পর এক ছুরিকাঘাত করেন অভিনেতাকে। মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয় তাকে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ