ঈদুল ফিতরে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে যানবাহন পারাপার ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শন করেছেন রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মোছা. শামিমা পারভীন।
শনিবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার দৌলতদিয়ার ফেরিঘাট ও টার্মিনাল এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। পরিদর্শনের সময় ঘাট এলাকায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের দিক-নির্দেশনা দেন জেলার পুলিশ সুপার।
পরিদর্শনকালে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া প্রান্ত থেকে ছেড়ে আসা বেশ কয়েকটি বাসের চালক ও যাত্রীদের কাছে অতিরিক্ত ভাড়া ও চাঁদাবাজির বিষয়ে জিজ্ঞেস করেন তিনি। বেশ কয়েকজন যাত্রী ও চালক পুলিশ সুপারের কাছে এবারের ঈদযাত্রায় স্বস্তির বিষয়টি তুলে ধরেন। ফেরিঘাট এলাকায় চাঁদাবাজি ও ছিনতাই রোধে পুলিশের কর্মকাণ্ডকে প্রশংসা করেন যাত্রীরা।
পুলিশ সুপার মোছা. শামিমা পারভীন বলেন, দৌলতদিয়া ফেরিঘাট দেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি নদী বন্দর। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্নে করতে পুলিশ পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিল। চুরি, ছিনতাই, ফেরিতে জুয়া ও মাদক বিক্রির অভিযোগে আজগর, রাজুসহ বেশ কয়েকজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল থানা পুলিশ। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করার ক্ষেত্রে সেটি ভালো পদক্ষেপ ছিল। সব মিলিয়ে এবারের ঈদযাত্রা স্বস্তির। মানুষ দৌলতদিয়া ফেরিঘাট দিয়ে শান্তিতে বাড়ি ফিরছেন।
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় দেখা যায়, যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চ ও ফেরি যাত্রী ও যানবাহন নামিয়ে আবার পাটুরিয়ার উদ্দেশ্যে ফিরে যাচ্ছে। সেখান থেকে যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে আবার দৌলতদিয়া প্রান্তে আসছে। পাটুরিয়া প্রান্ত থেকে ছেড়ে আসা প্রত্যেকটি লঞ্চে যাত্রী রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দীন বলেন, ‘শনিবার সকাল থেকে ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ থাকলেও কোন ভোগান্তি ছিল না। দৌলতদিয়া প্রান্ত থেকে বেশিরভাগ ফেরি খালি হয়ে পাটুরিয়া চলে যাচ্ছে। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-রুটে ১১টি রো রো ফেরি, একটি কে টাইপ ফেরি ও তিনটি ছোট ফেরিসহ মোট ১৭টি ফেরি চলাচল করছে।’
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত