ঈদের কেনা-কাটা প্রায় অনেকেরই শেষ। তবে মাথার টুপি আর সুগন্ধি তো কেনা হয়নি। আর সে কারণেই রমজানের শেষ দিকে এসে মানুষ ভিড় করছে আতর, টুপি ও জায়নামাজ কিনতে। ফেনী শহরের অভিজাত বিপণিবিতানগুলোর আউটলেট থেকে শুরু করে জহিরিয়া মসজিদ, বড় মসজিদ মার্কেট, ট্রাংক রোড ও রাজাঝির দিঘির পাড়ের আতর-টুপির দোকানগুলোতে বাহারি টুপি ও আতর কিনতে আসছেন নানা শ্রেণি-পেশার ক্রেতারা।
শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করছে বিক্রেতারা। জমজমাট হয়ে উঠেছে ফেনীর ঈদ বাজার। রাজাঝির দিঘি পাড়ের টুপি বিক্রেতা আউয়ুব নবী জানান, এবারের ঈদে তিনি এসব পণ্য বিক্রি করার জন্য লক্ষাধিক টাকা বিনিয়োগ করেছেন। রমজানের শুরু থেকেই মানুষের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছেন। ২৭ রমজানের পর থেকে বিক্রি বেড়েছে কয়েকগুণ। প্রায় ১ লাখ টাকার টুপি আতর কিনেছেন বিক্রির জন্য।
ফেনী বড় মসজিদ মার্কেটের আতর বিক্রেতা মুনির হোসেন বলেন, কয়েক বছরের তুলনায় এবার আমাদের বিক্রি অনেক বেড়েছে। প্রথম রোজা থেকেই প্রতিদিন ক্রেতাদের উপস্থিতি অনেক বেশি। এবার দরবার, গোলাপ, বেলি, কস্তুরী, সুলতান, বুরুট, সালমা ইত্যাদি আতর বেশি বিক্রি হচ্ছে। দেশি আতরের পাশাপাশি বিদেশি, যেমন: কম্বোডিয়া, ভারত, বুলগেরিয়া, দুবাই, ফ্রান্স, সৌদি আরব থেকে আতর বেশি আসে আমাদের এখানে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আতর বিক্রি হচ্ছে।
জহিরিয়া মসজিদের সামনে ছেলেকে নিয়ে আতর কিনতে আসা মাহি খান বলেন, ঈদের নামাজের জন্য পরিবারের সবার জন্য আতর ও টুপি কিনেছি। অন্যান্য বারের চেয়ে এবার আতরের দাম বেশি দেখছি। তারপরও নিতে হবে। কারণ, বছরের একটা দিন সবাই নতুন জিনিস ব্যবহার করতে চায়।
ট্রাংক রোডের ফুটপাতে আসা আরেক ক্রেতা নুর হোসেন বলেন, প্রতি বছর ঈদের পোশাক কেনার পর টুপি-আতর না কিনলে কেনাকাটা পূর্ণতা পায় না। তাই, প্রতি বছর ঈদের সময় টুপি ও আতর কিনি এবং পরিবারের সবাইকে উপহার দেই।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত