শরীয়তপুরের জাজিরায় দুই পক্ষের বালতিতে বোমা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত প্রধান অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রবিবার ভোর রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে র্যাব-৮ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল নিস্তার আহমেদ জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তার কুদ্দুস বেপারী ওরফে বোমা কুদ্দুস (৫৪) শরিয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মুলাই বেপারীকান্দি এলাকার মৃত গনি বেপারীর ছেলে। সে জাজিরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বিলাসপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।
র্যাব-৮ অধিনায়ক লে. কর্নেল নিস্তার আহমেদ জানান, বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বোমা কুদ্দুস ও জলিল মাদবর। নির্বাচনে কুদ্দুস বেপারী নির্বাচিত হয়। নির্বাচনের পর থেকে দুই প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ অব্যাহত থাকে। এ নিয়ে দুই পক্ষ একাধিকবার সংঘর্ষে জড়িয়ে হত্যা ও আহত করার ঘটনা ঘটায়।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ৫ এপ্রিল সকালে প্রথমে বিলাসপুর ইউনিয়নের কাজিয়ারচর গ্রামের জসিম ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ীর সামনে ও পরে মুলাই বেপারীকান্দি গ্রামে ফসলের মাঠে দুই পক্ষ বালতিতে বোমা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সেনা, র্যাব ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছে। এ ঘটনায় একজনের হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়। এছাড়াও অন্তত ১৫ জন আহত হয়।
এ ঘটনার ভিডিও সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেশবাসীর মনে উৎকণ্ঠা ও শংকা ছড়িয়ে পড়ে। তখন র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে ঢাকার শাহজাহানপুরের মুমিনবাগ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। র্যাব-৩ এর সহায়তায় পরিচালিত অভিযানে সেখান থেকে কুদ্দুস বেপারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার কুদ্দুস বেপারীর বিরুদ্ধে জাজিরা থানায় বিভিন্ন অপরাধের জন্য ১৯ টি এবং ঢাকা মহানগরের বিমানবন্দর ও ভাটারা থানায় একটি করে মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অপর অভিযুক্ত জলিল মাদবর বর্তমানে জেলে রয়েছে।
গ্রেপ্তার কুদ্দুস বেপারীকে জাজিরা থানায় হস্তান্তর করা হচ্ছে বলে র্যাব অধিনায়ক জানিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ