প্রেমের ফাঁদে ফেলে মনোয়ার হোসেন পলাশ নামে আশুলিয়ার এক কলেজছাত্রকে সাভারে ডেকে এনে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায় ও মারধর করা হয়। ঈদের দিন সন্ধ্যায় সাভার পৌরসভার মুক্তির মোড় তারাপুর মহল্লার প্রবাসী সিদ্দিকুর রহমানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মনোয়ার হোসেন পলাশের মা পারুল আক্তার বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনায় সম্পৃক্ত এক নারীসহ চক্রের মূলহোতাকে আটক করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ। শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে সাভার পৌরসভার মুক্তির মোড় তারাপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকরা হলেন- সাভারের আনন্দপুর এলাকার আবদুস সামাদের ছেলে সাজেদুল ইসলাম সাদ (২৫) ও চট্টগ্রাম জেলার মানিকছড়ি গ্রামের সৈয়দ মোহাম্মদ ইসমাইলের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস ওরফে মায়া। তারা দুজনেই স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে একটি ফ্ল¬্যাট ভাড়া নিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিভিন্ন বয়সি মানুষকে জিম্মির মাধ্যমে বাণিজ্য করে আসছিল। এ ঘটনায় জড়িত জিহাদ ও সৌরভ পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ভুক্তভোগী মনোয়ার হোসেন পলাশ জানান, কয়েকদিন আগে জান্নাতুল ফেরদৌস মায়ার সঙ্গে মেসেঞ্জারে কথাবার্তা ও ছবি আদানপ্রদানের মাধ্যমে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ঈদের দিন বিকালে জান্নাতুল দেখা করার জন্য তাকে সাভারের মুক্তির মোড়ে আসতে বলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সাভারের মুক্তির মোড় এলে জান্নাতুল ও সাজেদুল ইসলাম সাদসহ ৩-৪ জন তাকে অপহরণ করে পাশের একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি ও হাত-পা এবং চোখ বেঁধে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে মারধর শুরু করে। পরবর্তী সময়ে নগদ ৫ হাজার ৬০০ টাকা ও বিকাশের মাধ্যমে ২৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। বাকি টাকা দেওয়ার শর্তে নগ্ন ভিডিও ধারণ করে ওইদিন রাতে পাকিজা এলাকায় ফেলে রেখে যায়। এ সময় একটি দামি মোবাইল ফোন সেট হাতিয়ে নেয় তারা। অসুস্থ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে পথচারীরা। পরবর্তীতে সেই নগ্ন ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মোবাইল ফোনে বাকি টাকা দাবি করতে থাকে অভিযুক্তরা।
এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আশিক ইকবাল জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর অভিযুক্ত দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।