গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দিন দিন নিচে নেমে যাচ্ছে। ফলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাড়ি-ঘরে নলকূপে পানি উঠছে না। এতে বসত-বাড়িতে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিকে, গ্রাম ও চরাঞ্চলে বোরো আবাদে সেচের সুবিধা না থাকায় শ্যালো মেশিনে পানি উত্তোলন করে বোরো আবাদের হিড়িক পড়েছে। ফলে দ্রুত নামছে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর।
সরেজমিনে জানা যায়, শুষ্ক মৌসুমে এমনিতেই পানির স্তর নিচে নেমে যায়। তার ওপর খালবিল, নদীনালার পানি শুকিয়ে যায়। ফলে বোরো আবাদে সেচ-সংকট দেখা দেয়। কৃষকরা বাধ্য হয়ে ভূগর্ভস্থের পানি উত্তোলন করে সেচ কাজ চালান। এতে উপজেলায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার কারণে নলকূপ গুলোতে পানির সংকট দেখা দিচ্ছে।
স্থানীয়দের মতে, শুষ্ক মৌসুমে অগভীর নলকূপ থেকে পানি পাওয়া যায় না। যাদের নলকূপ ২০০-৩০০ ফুটের গভীরে তারা নিয়মিত পানি পান। আর যেসব নলকূপ ৫০-১২০ ফুট গভীর, এসব থেকে পানি পাওয়া যাচ্ছে না। এতে পানীয় জলের সংকট দেখা দিচ্ছে। পাশের বাড়ি কিংবা দূরবর্তী জায়গা থেকে পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে।
ঘুড়িদহ ইউনিয়নের খামারপবনতাইড় গ্রামের ফিরোজ বলেন, ‘আমাদের এলাকায় একদম পানি পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে পানীয় জলের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ’চিনিরপটল গ্রামের হবিবর রহমান বলেন, ‘আমাদের এলাকায় শতাধিক পরিবারের নলকূপে পানি ওঠে না।’
এ ব্যাপারে সাঘাটা উপজেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ-প্রকৌশলী মমুনুর রশিদ বলেন, নলকূপ গুলো স্থাপনের ক্ষেত্রে ট্যাকনিকেল সমস্যার কারণে নলকূপ গুলোতে পানির সংকট দেখা দেয়। ভরা মৌসুমে নদী ও খালবিলে পানি থাকে এসময় স্বল্প গভীরে স্থাপন করলেই পানি পাওয়া যায়। আর শুষ্ক মৌসুমে সেচ দিয়ে পানি তোলার কারণে পানির স্তর দ্রুত নেমে যায়। এই কারণে অগভীর নলকূপগুলো থেকে পানি পাওয়া যায় না। নলকুল গুলো স্থাপনের সময় ২০০-৩০০ ফুট গভীরে স্থাপন করা হলে পানির সংকট থাকবে না বলে জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল